গত দুই দিনে লাশগুলো উদ্ধার করা হয় বলে টেকনাফের ইউএনও জানান।
Published : 08 Aug 2024, 02:25 AM
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় নাফ নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকা থেকে আরও ১২ নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। যাদের মধ্যে ছয়টি শিশু ও ছয় নারী রয়েছেন।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফনদীর জেটিঘাট এলাকা থেকে দুটি শিশু ও তিনজন নারী, সাগর তীরবর্তী শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া সৈকত থেকে দুই নারী ও দুই শিশু এবং পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী জানান।
এর আগে মঙ্গলবার পৃথক সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন সমুদ্র উপকূল থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৯ জন রোহিঙ্গার লাশ।
ইউএনও আরও বলেন, “স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের মাধ্যমে লাশগুলো খবর পাই। নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, নাফনদী ও সাগর তীরের এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে রাতের আঁধারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে পৃথক দুই জায়গায় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে নিখোঁজ থাকা নারী, পুরুষ ও শিশুর লাশ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভেসে আসছে।
এদিকে, গত তিন দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনন্ত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জনপ্রতিনিধির দাবি, নৌকাযোগে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছুসংখ্যক আটক করেছেন। তাদের বিজিবির হেফাজতেই রাখা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বলে
বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন জানান।
তিনি বলেন, “পাশের দেশ মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারী বজায় রেখেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।”
সাব্বির আলমের ভাষ্য, চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যেকোনো প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে টেকনাফ, শাহপরির দ্বীপ, বাহারছড়া, সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাইস্পিড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
তিনি আরও বলেন, “টেকনাফ, শাহপরীরদ্বীপ, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত জনবল ও সরঞ্জাম মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো প্রকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।”
আরও পড়ুন: