তারা মিয়ানমার থেকে সাগর পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন বলে জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্য।
Published : 06 Aug 2024, 08:57 PM
মিয়ানমার থেকে আসা নৌকাডুবির ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার উপকূল থেকে আরও পাঁচ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৪ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
তারা মিয়ানমার থেকে সাগর পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে ভাষ্য জনপ্রতিনিধিদের।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট এলাকায় সাগরে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রশিদ বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে সাগর পথে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় ৩১ রোহিঙ্গাকে বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়।
কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশিরভাগ যাত্রী সাগরে তলিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় নয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও পাঁচ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচ শিশুর মৃতদেহ গোলারচর সৈকতে ভেসে আসে। পরে স্থানীয়রা সৈকতে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় এক মসজিদে নিয়ে আসে। এ নিয়ে পৃথক স্থান থেকে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হল।
খবর পেয়ে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা স্বজনরা লাশগুলো নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি সদস্য।
এর মধ্যে আরও কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছেন; যারা বিজিবি হেফাজতে আছেন বলে জানান তিনি।