ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত

“এ ঘটনায় আমি জড়িত না। দল আমার ওপর অবিচার করেছে।”

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর পর, থানা বিএনপির দুই নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে।

পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।

বুধবার গভীর রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনায়েতপুর উপজেলার সৌদিয়া চাদপুর ইউনিয়নের চাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে ইফতার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বুধবার রাত ৮টার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৌদিয়া চাদুপর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনের মৃত্যু হয়। ৩৫ বছর বয়সী কবির চাদপুর গ্রামের ফজল হকের ছেলে।

এ ঘটনায় পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন- এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির জনি সাইদুল ও একই কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জু রহমান মঞ্জু শিকদার।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, “এনায়েতপুরে বালুমহাল ও ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে নাম আসায় থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির জনি সাইদুল ও সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জু রহমান মঞ্জু শিকদারের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ স্থগিত করা হল। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হল।”

কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দিতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানি বলেন, “বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কবির হোসেনের লাশ ঢাকা থেকে এসে পৌঁছায়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।”

“বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি এবং কোনো পক্ষ মামলাও করেনি।”

পদ স্থগিত হওয়া এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির জনি সাইদুল বলছেন, “পদ স্থগিতের চিঠি পেয়েছি। এ ঘটনায় আমি জড়িত না। তারপরও দল এই সিন্ধান্ত নিয়ে আমার ওপর অবিচার করেছে।”

আরও পড়ুন

সিরাজগঞ্জে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যু, প্রতিবাদে বিক্ষোভ