উপর থেকে নির্মাণ সামগ্রী পড়ে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বহুবার ভবন মালিককে নিচে প্রটেকশন দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি।
Published : 31 Mar 2024, 06:20 PM
ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে গাজীপুরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দেয়াল ধসে বসতঘরের চালে পড়েছে; এতে এক দম্পতি ও তাদের এক শিশু সন্তান আহত হয়েছে।
রোববার ভোরে নগরের দক্ষিণ ছায়াবিথী মাধববাড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন আটতলা ভবন ‘সুলতান হাছিনা টাওয়ার’ থেকে ওই দেয়াল ধসে পড়ে বলে সদর থানার ওসি রাফিউল করিম রাব্বী জানান।
আহতরা হলেন- একই এলাকার সিদ্দিকুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী রত্না আক্তার (৩৪) ও তাদের ছোট ছেলে আব্দুর রহমান আউফ।
সিদ্দিকুরকে উন্নত চিকিৎসার ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহত সিদ্দিকুর রহমানের বড় ছেলে রাইসুল ইসলাম বলেন, ভোরে তিনি একটি ঘরে পড়ছিলেন। পাশের রুমে তার বাবা-মা ও ছোট ভাই খাটে শুয়ে ছিলেন। সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ দমকা হওয়া ও ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাশের নির্মাণাধীন সুলতান হাছিনা টাওয়ারের আটতলা ভবনের ওয়ালের কিছু অংশ ধসে নিচে তাদের বসত ঘরের টিনের চালের উপর পড়ে।
রাইসুর বলেন, “এ সময় চাল ছিদ্র হয়ে এবং এঙ্গেল ও ফ্যান ভেঙে ধসে পড়া দেয়ালের অংশ খাটের উপর পড়ে। এ সময় বাবা-মা ও ছোট ভাই আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
পাশের ‘এক্সপোর্ট ভিলেজ মেনস জোন’ নামের একটি তৈরি পোশাকের দোকানের উপর ইট পড়ে ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান এ কলেজছাত্র।
আহত রত্না আক্তারের অভিযোগ, সুলতান হাছিনা টাওয়ারের মালিক নির্মাণ চলাকালে কোনো প্রটেকশন দেয়নি। উপর থেকে নির্মাণ সামগ্রী পড়ে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বহুবার ভবন মালিককে নিচে প্রটেকশন দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
“কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত করেনি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুলতান হাছিনা টাওয়ার ভবনের মালিক আবু সাদেক দোলন বলেন, “প্রটেকশন ছিল; ঝড়ে সেটা ফেলে দিয়েছে। এটি একটি দুর্ঘটনামাত্র। আমি তাদের চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত আছি। এ নিয়ে পরে কথা বলব।”
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শামীমা আফরোজ বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের আঘাত মারাত্মক নয়। সিদ্দিকুর রহমানকে তার স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেছেন ।
ওসি রাফিউল বলেন, “এ ব্যাপারে এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।”