কক্সবাজারে গণপরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তাররা গণপরিবহনের কাছ থেকে ১০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন হারে চাঁদা আদায় করতো বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2023, 04:51 AM
Updated : 1 March 2023, 04:51 AM

কক্সবাজার সদরে কথিত সংগঠনের নামে গণপরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলার লিংকরোড এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরীর তাহের আহমেদ সিকদার (৫০) ও বিসিক শিল্প এলাকার ওবায়দুল করিম (৪০), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিজিবির চেকপোস্ট এলাকার গিয়াস উদ্দিন (৩৫), রামু উপজেলার ফতেখাঁরকূল ইউনিয়নের হাইটুপি গ্রামের সুজন বড়ুয়া (৪২) এবং চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের চরবরমা এলাকার মো. শাহজাহান (৪৮)।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে তাহের আহমেদ সিকদার কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি। তবে কথিত পরিবহন সংগঠনটির বৈধ কোনো কমিটি নেই বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ ছাড়া আইনজীবী তাহের আহমেদকে কক্সবাজার সদর উপজেলা জামায়াত ইসলামীর রুকন সদস্য হিসেবেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়। 

র‌্যাব কর্মকর্তা আবু সালাম চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার তাহের আহমেদ সিকদার জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ২ নম্বর আসামি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও নাশকতাসহ নানা অভিযোগে ছয়টির বেশি মামলা রয়েছে।

মামলার নথির বরাতে তিনি বলেন, লিংকরোড এলাকায় গণপরিবহন খাত থেকে কথিত সংগঠনের নামে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করার অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে একটি মামলা হয়েছে।

শ্যামলী পরিবহন সার্ভিসের কক্সবাজার অফিসের ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম শামীম বাদী হয়ে তাহের আহমেদ সিকদারকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

"মঙ্গলবার বিকালে লিংকরোড এলাকায় চাঁদা আদায়ের খবরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্দেহজনক ৭-৮ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

“এসময় তাদের কাছে বিভিন্ন যানবাহন থেকে আদায় করা চাঁদা বাবদ নগদ ১০ হাজার ২০০ টাকা পাওয়া যায়।"

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, "গ্রেপ্তাররা পরিবহনগুলোর কাছ থেকে ১০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন হারে চাঁদা আদায় করতো। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টার ইনচার্জদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবির পাশাপাশি কেউ অস্বীকৃতি জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দিত বলেও অভিযোগ রয়েছে।"

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারদের কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।