২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে শামীমের হাত-পা ও চোখ বেঁধে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় আসামিরা।
Published : 12 Apr 2023, 07:23 PM
মাদক সেবন ও অসামাজিক কাজে বাধা পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদরে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির ফাঁসির রায় হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বুধবার আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
একই ঘটনায় আরও তিন কিশোরের বিচার চলছে শিশু আদালতে।
প্রায় ৮ বছর আগে সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের আমআটি শিবপুর গ্রামে অটোরিকশা চালক শামীমকে (২২) হত্যার মামলায় এ রায় হলো বলে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ভারপ্রাপ্ত পিপি জীবন কুমার রায় জানান।
দণ্ডিত শফিকুল ইসলাম (২৮) বৌলাই ইউনিয়নের আম আঁটি শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিচার শুরুর পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। শফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নিহত শামীমের বাড়ির পাশে নিন্দু মিয়ার মাছের ঘেরে বসে একই গ্রামের কয়েকজন যুবক নিয়মিত নেশা ও অসামাজিক কার্যকলাপ করত। শামীম তাদের নিষেধ করলে প্রায়ই ওই যুবকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হতো।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে শামীম ওই এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নিন্দু মিয়ার ফিশারিতে ধরে নিয়ে প্রথমে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে আসামিরা। পরে তার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শামীমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে; কিন্তু এর আগেই প্রায় পুরো শরীর পুড়ে যায়।
তাকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে শামিমের মৃত্যু হয়।
পিপি জীবন কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় শামীমের চাচা মানিক মিয়া বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চার জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মুর্শেদ জামান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।