সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার আস্তানা থেকে ৩০০টির বেশি স্বাক্ষরিত ফাঁকা দলিল-দস্তাবেজ ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
Published : 06 Nov 2024, 04:36 PM
কক্সবাজার সদরে ৪৪টি মামলার পলাতক এক আসামিকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার ভোরে রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকার এক বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
জিয়াবুল হক জিয়া (৪০) কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের পশ্চিম মাঝেরহাট পাড়ার মনির আহমেদের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, “ভূমিদস্যু, চিংড়ি ঘের দখলকারী, অসংখ্য মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জিয়াবুল হক জিয়া চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্ক। তার আতঙ্কে অনিরাপদে নির্ঘুম রাত্রীযাপন করে এলাকাবাসী।
“তার নেতৃত্বে এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের তথ্য পায় র্যাব। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার আস্তানা থেকে ৩০০টির অধিক স্বাক্ষরিত ফাকা দলিল দস্তাবেজ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করলেও সে পালিয়ে যায়। ”
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “এরপর থেকে তাকে গ্রেপ্তারে র্যাব সদর দপ্তরের ইন্টেলিজেন্স উইং এবং র্যাব-১৫ এর নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। এর সূত্র জানা যায় জিয়াবুল হক জিয়া রাজারকুল এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন।
“পরে সেখান থেকেই ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি দেশীয় অস্ত্র ও দুইটি গুলি উদ্ধার হয়েছে।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াবুল হক চৌফলদন্ডী এলাকায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত নানা অপরাধের বিষয় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাবের এ কর্মকর্তা।
কামরুজ্জামান বলেন, “জিয়াবুল হক জিয়া বিভিন্ন মাধ্যমে দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গুলি সংগ্রহ করে তার দখল বাণিজ্যের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এ সকল অবৈধ অস্ত্রের দাপটে তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চিংড়ি ও লবণের ঘের, জমি দখল, মাদকসহ নানা অপরাধ করতেন।
“যাদের জমি/চিংড়ি ঘের দল করা হয়েছিল, তারা তাদের জমি/ঘের ফেরত চাইলে তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসী জিয়াবুল হক জিয়া ও তার সহযোগীরা গুলি ও হামলা করে। এ সময় গুলিতে দুজন গুলিবিদ্ধও হয়।”
পরে গ্রেপ্তার জিয়াকে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান মো. কামরুজ্জামান।