প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ওই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে চরম অব্যস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ আছে বলে দাবি করেন সংগঠনগুলোর সমন্বয়কারী।
Published : 05 Aug 2023, 11:00 PM
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় একটি কমিউনিটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারসহ বারবার ভুল চিকিৎসা দিয়ে ক্ষতি সাধনের দায়ে চিকিৎসাকেন্দ্রটি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কাপাসিয়া শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ চত্বরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংগঠনগুলো।
৪৪টি সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়কারী বাবু শেখ জানান, গত ২১ জুলাই উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের মডিউল কমিউনিটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন রানীগঞ্জ গ্রামের সাহিদা নামের এক প্রসূতি। গত ৪ অগাস্ট ভোরে ওই হাসপাতালে সাহিদার মৃত্যু হয়।
“একই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে বর্তমানে মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এক রোগী।”
বাবু শেখের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ওই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে চরম অব্যস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার রানীগঞ্জ গ্রামের সাহিদার স্বামী আরিফ ইসলাম বলেন, “ওই কমিউনিটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রী মারা গেছেন। আমি এর বিচার চাই।”
মানবন্ধনে অংশ নেওয়া তারুণ্যের আলো সামাজিক সংঘের সভাপতি মাহমুদুল হাসান নাঈম বলেন, “সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছেন। তাই মানুষের জন্ম নিয়ে প্রসূতি মায়েদের কষ্ট দিবেন না। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না।”
তবে ভুল চিকিৎসায় ওই প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মডিউল কমিউনিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রুহুল আমিন।
চিকিৎসাকেন্দ্রটির ব্যবস্থাপক নারায়ণ সাহা বলেন, “ওই রোগী গত ২১ জুলাই সিজারের মাধ্যমে বাচ্চার জন্ম দেন। ২৪ জুলাই হাসপাতাল থেকে বাসায় যান। ৩০ জুলাই হাসাপাতালে ড্রেসিং করাতে এসে ভর্তি হন।
গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে স্ট্রোক করে ওই প্রসূতি মারা যান বলে দাবি নারায়ণ সাহার।
একই দাবি করেন হাসপাতালটির চিকিৎসক মো. শামসুল হুদা।
এদিকে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ বাধ্য হয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগের জবাবে চিকিৎসক সংকটের কথা জানালেন কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (টিএস) ডা. মামুনুর রহমান।
তিনি জানান, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫ জন চিকিৎসক গাজীপুর কারাগারে, এবং দুজন ডেঙ্গু রোগীর জন্য অন্য একটি সরকারি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে ৬ জন চিকিৎসকের পদ খালি আছে।