“তবে এখনও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত এবং বালুবাহী নৌযানটি জব্দ করা যায়নি।”
Published : 08 Oct 2023, 08:45 PM
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জের কাছে মেঘনা নদীতে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় তৃতীয় দিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট চারজনের লাশ উদ্ধার হল। এখনও নিখোঁজ আছে দুজন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজরা সবাই মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের বাসিন্দা। সেদিন ভাড়া করা ট্রলারে করে একটি পরিবারের ১১ জন আত্মীয়-স্বজন নদীতে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন।
এর মধ্যে পাঁচজন সাঁতরে তীরে উঠলেও ছয়জন নিখোঁজ হয় বলে জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ। ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনীর ডুবুরি ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।
শনিবার ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে চর রমজানবেগ থেকে মফিজুল হকের স্ত্রী সুমনা বেগমের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।
রোববার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে চাঁদপুরের ষাটনল থেকে জান্নাতুল সাবিহার (৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সুমনার ভাসুরের মেয়ে।
সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জের চরঝাপটা কাছ থেকে সাব্বির হোসেনের (৩৬) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি সুমনার ভগ্নিপতি হন।
সবশেষ বিকাল সাড়ে ৪টায় দুর্ঘটনাস্থলের ৪০০ মিটার দূরে মুন্সীগঞ্জের চর রমজানবেগের কাছ থেকে জান্নাতুল মাওয়ার (৬) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে সুমনার বড় মেয়ে।
এ ঘটনায় এখনও সাব্বিরের ছেলে ইমাদ হোসেন (২) এবং সুমনার ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৪) নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম।
তিনি আরও বলেন, তবে এখনও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত এবং বালুবাহী নৌযানটি জব্দ করা যায়নি।