“জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে, যে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগলো কি করে।”
Published : 23 Apr 2025, 03:03 PM
আওয়ামী লীগ কিভাবে রাজনীতি করবে সে দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ তৈরি করা চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ আপনাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু আইনগতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে, সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন।
“এখন আওয়ামী লীগ কিভাবে রাজনীতি করবে সে দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের। কারণ প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব স্টেট ম্যাশিনারি আপনাদের হাতে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা কী করবেন সেটা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসরদের অনুসারীরা ঘাপটি মেরে আছে বিভিন্ন তৃণমূলে, সমাজের নানা জায়গায়। ওদের কাছে পেট্রোল কিনে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার যে অর্থ, মানুষকে হত্যা করার জন্য যে অস্ত্র লাগে তা আছে। সেটাকে দমন করতে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কি আইন প্রণয়ন করতে হবে, সেটা আপনারা জনগণের কাছে খোলাসা করুন।”
আওয়ামী লীগের অনেকেই পালিয়ে গেলেও যারা নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে তারা কার কাছে প্রশ্রয় পাচ্ছে?-এ প্রশ্নও তোলেন রিজভী।
তিনি বলেন, “প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গের তো এটা জানার কথা। যারা ১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা আজ এই জনসমুদ্রের ভেতর কোথায় লুকিয়ে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে তাহলেতো এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে।'
রিজভী বলেন, “এই সরকার নির্বাচন নিয়ে কি তালবাহানা করছে তা আমরা দেখছি। এই সরকার তো গণতন্ত্র সংগ্রামের ফসল। তারতো প্রতিটা ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে, যে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগলো কি করে। সে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার চিত্রকর্ম দিয়ে, শৈল্পিক চেতনা দিয়ে প্রতিবাদ করেছে।”
“মানবেন্দ্র ঘোষের মতো আরো কত লোক যে সামনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা গণতন্ত্রের কথা বলেছে, বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলেছে, যারা লড়াই করেছে, গুলির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও যারা ক্ষত বরে বেড়াচ্ছে তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোসরদের টার্গেটে পরিণত হয়ে আছে। তারা এক-এক করে তাদের উপর আক্রমণ করবে।”
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া হাবু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।