শিশুটি বৃহস্পতিবার তার মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে (মেঘনা নদী) পিকনিকে এসে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
Published : 13 Oct 2024, 04:42 PM
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মেঘনা নদীতে পিকনিকে এসে পানিতে ডুবে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
শনিবার সকালে উপজেলার আমিরাবাদ মেঘনা নদীতে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে তা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান।
নিহত মো. আবির (১০) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বাঘবের এলাকার জজ মিয়ার ছেলে এবং ভক্তবাড়ী বাজারের আল আকসা রেসিডেন্সিয়াল মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
শিশুটি বৃহস্পতিবার তার মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে (মেঘনা নদী) পিকনিকে এসে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
নিহত আবিরের চাচা ফজলুল হক বলেন, “বৃহস্পতিবার আমার ভাতিজা তার মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিকে আসে। সেখানে সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দ-উদযাপন করার সময় মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায় আবির।
“পরে মোহনপুর নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরিদলকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চলে যায়।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে কোনো নিরাপত্তা নাই, নিরাপত্তা ছাড়া তারা কীভাবে একটা পর্যটন কেন্দ্র চালু করে? আমার ভাতিজা নিখোঁজ হওয়ার পর ঐ পর্যটন কেন্দ্রের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।”
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন আহমেদ বলেন, “গত বছরও নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী একই স্থানে ডুবে মৃত্যু হয়। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো সতর্কতা অবলম্বন করেনি।
“সাঁতার না জানা শিশুদের নদীতে নামতে দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হচ্ছে না। এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যমকেও জানানো হয় না।”
এ বিষয়ে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে শিশুটির লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।