শিমুল ৬ ডিসেম্বর রাতে চরঘোষপুর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
Published : 09 Dec 2024, 10:11 PM
পাবনা জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী শিমুল মালিথা হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সহপাঠী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরে জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে আব্দুল হামিদ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে।
এসএসসি ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শিমুল ৬ ডিসেম্বর রাতে চরঘোষপুর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিমুলের সহপাঠী জামিউল ইসলাম সোহান বলেন, “শিমুলের সঙ্গে কারো বিরোধ ছিল না। বিনা কারণে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা না হলে, আমরা বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হব।”
শিমুলের বাবা শাহীন মালিথা বলেন, “আমার ছেলে কোনো ঝামেলায় কখনোই জড়ায়নি। কোনোদিন তাকে নিয়ে কোনো অভিযোগ বা নালিশ আসেনি। আমার সেই সোনার টুকরো ছেলেকে মেরে ফেলা হল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
শিমুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা শাহীন মালিথা বাদী হয়ে বকুল সরদার, আকাশ সরদার, মোমিন সরদারসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে কিছু অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে রোববার রাতে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, খলিল, মিঠু ও শান্ত নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, “এখন পাড়ায় পাড়ায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন হচ্ছে। রাতভর চলা এসব মাহফিলের আশপাশে মেলার আদলে দোকান বসানো রীতিতে পরিণত হয়েছে। মাহফিল বা যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার বিধান থাকলেও তা কেউই মানছেন না। নিজেরাও নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা রাখছেন না। ফলে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।”