অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সমতল থেকে একজন আদিবাসী প্রতিনিধি রাখার আহ্বান জানান নেতারা।
Published : 14 Sep 2024, 08:00 PM
সমতলের আদিবাসীদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়, ভূমি কমিশন গঠন এবং আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতিসহ ১১ দফা দাবিতে ময়মনসিংহে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হয়েছে।
শনিবার সকালে নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হলে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে আদিবাসী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈষম্যহীন দেশ গড়তে মূলধারার জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি প্রান্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সার্বিক সুরক্ষার বিকল্প নেই। সমতলের আদিবাসীদের বাদ দিয়ে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন কখনও সম্ভব নয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সমতল থেকে একজন আদিবাসী প্রতিনিধি রাখার আহ্বান জানান তারা।
সেখানে সমাবেশে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন মহানগর শাখার সভাপতি অনন্য রেমা অনিক, সমন্বয়কারী অনিরুদ্ধ হাপাং, জাসেং নকরেক, অর্ণব জেমস স্কু, চৈতি মানখিন, তীর্থ রুরাম এবং অতনু হাগিদক বক্তব্য দেন।
পরে আদিবাসী শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হলো-
আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
আদিবাসী প্রথাগত ভূমি সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং ১৯২৭ সালের বন আইন সংশোধন করতে হবে।
উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের ভূমি অধিগ্রহণ, বেদখল ও উচ্ছেদ বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সকল আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত বিচার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সমতল অঞ্চলের আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিশ্চিত করতে হবে।
সমতল আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখে বিশেষ ব্যবস্থা (মনিটরিং সেল অথবা বোর্ড গঠন) করতে হবে।
সমতল অঞ্চলের আদিবাসী ছাত্র-যুবদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সমতল আদিবাসীদের স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
ঐতিহ্য ও প্রথা সংরক্ষণে আইন প্রণয়নের পাশাপাশি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য রক্ষার্থে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান করতে হবে।