২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
Published : 23 Oct 2024, 05:22 PM
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার বেলা ২টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা জানান।
তিনি বলেন, “৩ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত চলছে। নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখতে বলার পাশাপাশি মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলতে বলা হয়েছে।”
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সকাল পৌনে ১১টা থেকে বৃষ্টিপাত ৩০ মিনিট ভারি বৃষ্টি হয়।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। এ কারণে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বন্যায় বিভিন্ন সড়কে যে খাদাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোতে পানি জমে গেছে। এছাড়াও কিছু নিচু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
জেলা প্রশাসক খণ্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীর হাতিরা, সুবর্ণচর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে দুর্যোগ মোবাবিলায় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
এখন ঘূর্নিঝড়ের গতি-প্রকৃতি নিবীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।