অন্তঃসত্ত্বা হলে বাচ্চা নষ্ট করার হুমকিও দিয়েছিলেন স্কুলশিক্ষক মা।
Published : 18 Jan 2025, 12:06 AM
বরিশালে সাত দিন আগে জন্ম নেওয়া নবজাতকের হদিস মিলছে না।
শিশুটির বাবার পরিবার ও পুলিশের কাছে নবজাতক সম্পর্কে কোনো তথ্যও দিচ্ছেন না স্কুলশিক্ষিকা মা।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবার পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বরিশাল মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই ইব্রাহিম জানান।
নবজাতকের বাবা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ বলেন, দেড় বছর আগে ঝালকাঠি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ঐশি আক্তারের সঙ্গে বিয়ে তার হয়। দূরে চাকরি করা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ ছিল।
এ অবস্থার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হলে বাচ্চা নষ্ট করার ও সোহেল আহমেদকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দেন তার স্ত্রী। বেশ কয়েকবার বাচ্চা নষ্ট করতে গিয়েও ব্যর্থ হন।
গত ৯ জানুয়ারি বরিশাল নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে একা এসে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হলে পরে স্বজনরা তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে ১০ জানুয়ারি অস্ত্রোপচার ছাড়াই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ঐশী।
এরপর তাকে বরিশাল নগরীর আলেকান্দা এলাকায় বোনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বুধবার সকালে বাসার কাউকে কিছু না জানিয়ে বাচ্চা নিয়ে বের হয়ে একা ফিরে আসেন স্কুলশিক্ষক ঐশী।
প্রথমে স্ত্রী জানিয়েছে সন্তানকে কীর্তনখোলা নদীর ওপর নির্মিত সেতু থেকে নিচে ফেলে দিয়েছেন। পরে বলছেন, খয়রাবাদ সেতু থেকে নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও কোতোয়ালি মডেল থানার এক এসআই গিয়ে নবজাতকের বিষয়ে তার কাছে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু সঠিক কোনো তথ্য দেননি।
ঐশি আক্তার বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন।
বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই ইব্রাহিম বলেন, “দপদপিয়া সেতুর নিচে থাকা বিভিন্ন নৌযানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি। নবজাতকের মায়ের কাছে গিয়ে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি কোনো কথা বলছেন না। তাই নবজাতক কোথায় আছে, সেই বিষয়ে কোনো কিছু জানতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আরো তদন্ত করতে হবে।”
নবজাতকের মামা মো. মাসুদ বলেন, তার বোন শারীরিক অসুস্থতা ও বিষন্নতায় ভুগছেন। এ জন্য তাকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নবজাতক কোথায় আছে-এ প্রশ্নের জবাবে তার বোন কিছুই বলতে পারছে না।