জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে, তবে হিমেল বাতাসের গতি বেশি থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
Published : 25 Jan 2024, 10:56 AM
মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো কনকনে শীত যেন জেকে বসেছে দিনাজপুরে। সপ্তাহ জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন।
বৃহস্পতিবারও জেলার তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার যা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে, তবে হিমেল বাতাসের গতি বেশ বেশি থাকায় শীতের মাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বিগত কয়েক বছরে জেলায় একটানা এমন তীব্র শীতের প্রকোপ ছিল না। এবার যেন হাড় কাঁপানো কনকনে শীত স্থায়ী রূপ নিয়েছে। একটানা প্রায় ১৫ দিন শীতের দাপট থাকায় কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গত ৩-৪ দিন সূর্যের দেখা মেলায় দুপুরে শীত কিছুটা কম অনুভূত হলেও বিকাল থেকে সকাল পর্যন্ত শীত আর কুয়াশার দাপট ঠিকই থাকছে।
তীব্র শীতে শ্রমজীবী মানুষের যেমন দুর্ভোগ বেড়েছে তেমনি সব বয়সের মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা এমন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল কাইয়ুম জানান- হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। পাঁচ বছরের নিচের বয়সের শিশুরা সর্দি-কাশি-জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে আলু এবং বোরো বীজতলা হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করে ফসল রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষক।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান- গত কয়েকদিন কিছুটা সময় সূর্যের দেখা মেলায় ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কমে গেছে।