“বৌমার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গণ্ডগোল করে মমতাজ আর ইমামুল। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে বৌমা বাবার বাড়ি চলে যায়।”
Published : 12 Aug 2024, 01:18 PM
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় এক বাড়ি থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে ১১ মাসের শিশুটিকে হত্যা করে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন তার বাবা।
রোববার রাতের কোনো এক সময় উপজেলার শরীফপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া।
মারা যাওয়া ইমামুল হোসেন (২৮) জেলার ওই গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে। ইমামুল ও মমতাজ বেগম (২৩) দম্পতির শিশুটির নাম আয়মান হোসেন।
ইমামুলের মা রহিমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন বিদেশে ছিল ইমামুল। সে মমতাজকে বাবার বাড়িতে যেতে দিত না।
“রোববার বৌমার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গণ্ডগোল করে মমতাজ আর ইমামুল। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে বৌমা বাবার বাড়ি চলে যায়। দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে কোনো রকম রেখেছিলাম।
“রাতে শিশুটিকে নিয়ে ইমামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহ রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার ছোট্ট আয়মানের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।”
ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ইমামুল হোসেন ও ছোট্ট শিশু সন্তান আয়মানকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে শিশু সন্তানকে রেখে তার মা বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় ইমামুল বাচ্চাটিকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে।”
অন্য কোনো কারণ আছে কিনা এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চালানো হচ্ছে বলেও জানান ওসি।