Published : 01 May 2025, 07:53 PM
মেঘনাসহ বরিশালের কয়েকটি নদীর অভয়াশ্রমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারের নেমেছে জেলেরা।
বুধবার মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরপরই জেলেরা দলবলে মাছ ধরতে নামে বলে বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান।
জাটকা সংরক্ষনে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ভোলা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর মেঘনা, তেতুলিয়া, পদ্মা, কালাবদর ও গজারিয়া নদীতে অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। এর মধ্যে বরিশালের হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার ৮২ কিলোমিটার এলাকার নিষেধাজ্ঞা আওতায় পড়ে।
মেঘনা নদীর তীরে হিজলা উপজেলার চর মান্দ্রা কুশরিয়া গ্রামের জেলে নাগর খান বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর রাত থেকে প্রচুর জেলে নদীতে মাছ ধরতে নেমেছেন। কিন্তু বর্তমানে নদীতে মাছ নেই। দিনভর জাল ফেলে গুটিকয়েক মাছ পেয়েছেন তারা।
বরিশালের শিকার নিষিদ্ধ ৮২ কিলোমিটারের সিংহভাগ পড়েছে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়।
জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর জাটকা শিকার কম হয়েছে। যারা শিকার করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। গত দুই মাসের নিষিদ্ধ সময়ে হিজলা ও মেহিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদী থেকে শিকার করা ৭৫ মন জাটকা, ১২ লাখ গলদা চিংড়ি রেনু, ১২ হাজার পাঙ্গাস মাছের পোনা ও অন্যান্য ৮০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। এছাড়া ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, ১২ জেলেকে জেল ও তিনটি মামলা করা হয়েছে।
উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে নয়টি পাই জাল, বেহুন্দি জাল ৪৫টি, কোণা জাল তিনটি, গলদা রেনু জাল ৫৩০টি, চরঘেরা জাল ৫৮২টি, চায়না দুয়ারি জাল ৪০টি, কারেন্ট জাল ৩২ লাখ মিটার, ইলিশ সুতার জাল ৫ লাখ মিটার, পাঙ্গাস শিকারের চাই একটি ও ১১টি ট্রলার।
বর্তমানে নদীতে মাছ না থাকার বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা আলম বলেন, ঝড় ও বৃষ্টি থাকার কারণে নদীতে ইলিশ মাছ একটু কম। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে নদীতে মাছ আসা শুরু করবে।