জেলা পুলিশের মুখপাত্র জানান, আদালতের নির্দেশ মতই পুলিশ সহযোগিতা করবে৷
Published : 28 Jan 2025, 09:06 PM
হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশে অপহরণের অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার আট পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক সাংবাদিক।
‘প্রতিদিনের কাগজ’ নামের একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধি মনসুর আলম মুন্না মঙ্গলবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আখতার জাভেদের আদালতে মামলাটি করেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দীন আহমেদ জানান।
মামলায় চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়াসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত ১৬ মার্চের মধ্যে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে সিআইডিকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান আইনজীবী।
মামলার বাদী সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্না জানান, ‘মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেন চকরিয়া থানার ওসি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হন ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ ডিসেম্বর ভোর রাতে তার কক্সবাজারের অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুন্না বলেন, “অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রামুর পানিরছড়া ঢালায় নামিয়ে আমাকে মারধর করা হয়। এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে আরেকবার নির্যাতন করা হয় হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে।”
পরে দ্রুত বিচার আইনে চাঁদাবাজির মামলায় ২১ দিনের কারাভোগ শেষে জামিনে আছেন বলে জানান মুন্না।
মামলার আইনজীবী সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন, “টেরিটোরিয়াল জুরিসডিকশনের বাইরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাদা পোশাকে ওসির নেতৃত্বে পুলিশ এমন কর্মকাণ্ড করেছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, “মুন্না নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটা নিউজ লিখে আমাকে দেন এবং নিউজটা ছাপাবে কি ছাপাবে না জানতে চান এবং চাঁদা দাবির ইঙ্গিত করেন।”
বিষয়টি তিনি স্ক্রিনশট নিয়ে উপরমহলে জানালে আইনমত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পাওয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন বলে জানান ওসি মঞ্জুর কাদের।
সাংবাদিক মুন্নাকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, “থানায় সিসি ক্যামারা রয়েছে। এ ধরনের কিছু হলে তা সেখানে উঠে আসবে।”
চকরিয়া থেকে কক্সবাজার এসে আটকের বিষয়ে মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, “এসপির নির্দেশে জেলার যেকোনো জায়গায় অভিযান করা যায়।”
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশ মতই পুলিশ সহযোগিতা করবে৷