র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার বলেন, “র্যাবের পোশাক পরিহিত ওই ব্যক্তিরা র্যাবের কেউ না। তারা সবাই অপহরণকারী দলের সদস্য।”
Published : 15 Dec 2024, 01:48 PM
বগুড়ায় ‘র্যাব পরিচয়ে’ অপহরণ করা এক কলেজছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে দুই নারীকে এবং নরসিংদীরর মাধবদী থেকে কলেজছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার।
অপহৃত কলেজ ছাত্র ফেরদৌস সরকার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই এলাকার মৃত. হাবিল সরকারের ছেলে। তিনি সরকারি শাহ সুলতান কলেজের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে, তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার দুই নারীর নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে তারা সম্পর্কে মা মেয়ে বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে শহরের জহুরুল নগর এলাকায় র্যাবের পোশাক পরে ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ফেরদৌস সরকারকে অপহরণ করে।
র্যাবের পোশাক ব্যক্তিরা ফেরদৌস সরকারকে মারতে মারতে রাস্তা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
অপহরণের পর দুর্বৃত্তরা ফেরদৌসের পরিবারের কাছে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরই মধ্যে তিন লাখ টাকা নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করেন ফেরদৌসের পরিবার।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করেনি জানতে পেরে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী৷
মামলার পর নগদ ও বিকাশ নাম্বারে ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করে পুলিশ। এবং বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিতে আসা দুই নারীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন জানান, অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে ফেরদৌস নরসিংদী থেকে তার মাকে ফোন দেন। সেই সূত্র ধরে আমরা অনুসন্ধান করে অবস্থান নিশ্চিত করে স্থানীয় লোকজন এবং নরসিংদী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফেরদৌসকে উদ্ধার করি এবং তাকে বগুড়া নিয়ে আসা হচ্ছে।
এদিকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ বলেন, “র্যাবের পোশাক পরিহিত ওই ব্যক্তিরা র্যাবের কেউ না। তারা সবাই অপহরণকারী দলের সদস্য। আমরাও তাদের ধরতে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”