যদি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন এবং সেটাই জীবনের শেষ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সুনামগঞ্জ-৩ (শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্য বলেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ দিলে আবারও নির্বাচনে আসব। আমি যদি এলাকায় ভাল কাজ করে থাকি, উন্নয়ন করে থাকি তাহলে আপনারা আমাকে মনে রাখবেন।
“এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। দেশের উন্নয়নে মিলেমিশে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। আমি চাই, যতদিন বেঁচে আছি ততদিন আপনাদের সেবা করব”, যোগ করেন এম এ মান্নান।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে হতদরিদ্রদের মধ্যে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবেক আমলা এম এ মান্নান ২০০৮ সালে প্রথম নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এরপর ২০১৪ সালে দশম এবং ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনেও জয় পান তিনি।
২০১৪ সালে তিনি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এবং পরে ২০১৮ সালে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
অবশ্য ২০০৩ সালে চাকরি থেকে অবসরের পর ২০০৫ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে হেরে গিয়েছিলেন এম এ মান্নান।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির উদ্দেশে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বাসে-ট্রাকে আক্রমণ করবেন না। নির্বাচনে আসেন। যদি হরতাল-অবরোধের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়, তাহলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা হয়। এটা কঠোরভাবে এবার প্রতিহত করা হবে।”
এম এ মান্নান বলেন, “মানুষের উন্নয়ন একমাত্র শেখ হাসিনাই করেছেন। অন্যরা ফুটানি করেছে। তারা জনগণের পাশে থাকেনি। তারা শহরে বাস করে উপর থেকে সমাজকে দেখেছে। কিন্তু শেখ হাসিনাই গ্রমে-গ্রামে সড়ক, সেতু, কালভার্ট, নলকূপসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু দিয়েছে। তাই আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আব্দুল মজিদ কলেজের হলরুমে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সীতাংশু শেখর ধর সিতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও পরিকল্পনামন্ত্রীর ছেলে সাদাত মান্নান অভি, সম্পাদক হাসনাত হোসেন, আব্দুল মজিদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রউফ পল্লব, শান্তিগঞ্জ থানার ওসি খালেদ চৌধুরী ও জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন।