মামলায় বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে চারটি বাস ও একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
Published : 30 Jul 2024, 05:56 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গাড়ি পোড়ানোর মামলার আসামি করা হয়েছে দেড় বছর আগে মারা যাওয়া সাভারের এক ‘বিএনপি নেতাকে’।
যদিও পুলিশ দাবি করেছে, ‘প্রিন্টিং মিসটেকের’ কারণে নাম ভুল হতে পারে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৮ জুলাই রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে চারটি বাস ও একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর পরিবহনের একটি বাস ছিল।
ঘটনার ছয় দিন পর ২৪ জুলাই সাভার মডেল থানায় বাসের সুপারভাইজার আলমগীর বাদী হয়ে ৫৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই মামলায় ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে আজগর আলীকে (৩৫); তার বাবার নাম মৃত আফছার উদ্দিন। ঠিকানা সাভার পৌর এলাকার বি/১১৮ জালেশ্বর দেখানো হয়েছে।
তবে মামলায় দেখানো ঠিকানায় খোঁজ করে আজগর আলী নামে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ওই বাড়ির মালিক মফিজ উদ্দিন বলেন, “এই বাসায় আজগর আলী নামে কেউ থাকেন না, আগেও কখনো ছিল না।”
তবে আশুলিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতির নাম আজগর হোসেন; তিনি আশুলিয়ার থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
আজগর হোসেনের স্ত্রী সোহেলি সুলতানা স্বামীকে আসামি করার বিষয়টি শুনেছেন এবং তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
তিনি বলছিলেন, “আমার স্বামীর নাম ‘আজগর আলী’ নয়, আজগর হোসেন। তার বাবার নাম আফছার উদ্দিন। আমার স্বামী ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় তার নাম দেওয়া হয়েছে জানতে পেরে বিস্মিত হয়েছি।”
মামলার বাদী আলমগীর বলেন, “আমি মামলা দিতে চাইছিলাম না। কারণ, আমি কাউকে চিনি না, জানি না। কার নামে মামলা দেব? থানা থেকে বলেছে, মামলা না করলে পোড়া গাড়ি পাওয়া যাবে না। পরে বাধ্য হয়েছি মামলা করতে।
“আমি তো শুধু নিজের নামটা কোনো রকম সই করতে পারি। আমি তো জানি না, এতো কিছু কাহিনি হবে। আগে জানলে কখনো বাদী হতাম না। আমার বাড়ি নাটোরে।”
সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান বলেন, “প্রিন্টিং মিসটেক বা তথ্যে ভুলের কারণে এমন হতে পারে। তবে তদন্তের মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”