Published : 30 Apr 2025, 10:34 PM
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সভা থেকে এ মৌসুমের আমপঞ্জিকা ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্জিকা অনুযায়ী সাতক্ষীরার আম বাজারে মিলবে ৫ মে থেকে।
বুধবার আম সংগ্রহের এই সূচি প্রকাশ করেন ডিসি মোস্তাক আহমেদ।
সূচি অনুযায়ী আগামী ৫ মে থেকে সাতক্ষীয় উৎপাদিত গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আমসহ স্থানীয় জাতের আম, ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ন্যাংড়া এবং ৫ জুন থেকে আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।
ডিসির সম্মেলন কক্ষে সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সাইফুল ইসলাম, জেলার আম চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
সাইফুল ইসলাম বিকালে খামার বাড়িতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার আম বাগান রয়েছে।
চলতি বছর এখান থেকে এবার ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “প্রতিটি জাতের আম পরিপক্ক হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।
“আগেভাগে পাড়লে আমের স্বাদ ও গুণগত মান কমে যায়, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ ক্ষুণ্ণ হয়।
“২০১৫ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম ইউরোপে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে, যা জেলার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।”
সভায় আরো বলা হয়, এই মৌসুমে আম সংগ্রহ ও পরিবহনে নজরদারি করতে মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত, চেকপোস্ট ও বিশেষ মনিটরিং টিম কাজ করবে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে চালানো হবে প্রচার অভিযানও।
সভায় ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি জাতের আমের কদর আছে দেশ ও বিদেশে। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে এখানকার আম দেশের অন্য এলাকার তুলনায় অগ্রিম পরিপক্ব হয় এবং স্বদেও অনন্য। আগে বাজারে ওঠার কারণে বেশি দামে বিক্রিও হয় এই আম।
সাতক্ষীরার আমের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং বিশুদ্ধ ও নিরাপদ আম বাজারজাত করতে আম সংগ্রহের এ সময়সূচি বা আমপুঞ্জিকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান ডিসি।
তিনি আরো বলেন, এই সময়সুচির আগে অপরিপক্ব আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা বাজার জাত করণে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে।
ডিসি আরো বলেন, এ বছর সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। রপ্তানিযোগ্য আম নিশ্চিত করতে গুণগত মান রক্ষা এবং নির্ধারিত সময়ের আগে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখা হবে।