দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বরাদ্দ পাওয়া আশ্রয়ণের ঘর থেকে হতদরিদ্র এক নারীকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে কালপুকুরের মোছা. মহিলা বেগম এ ঘর ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর সেখানে একদিনও থাকেননি মহিলা বেগম। তাই তার বন্দোবস্ত বাতিল করে ওই ঘর অন্যকে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তবে ‘দখলকারীর’ নামে ঘরটি এখনও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে ঘোড়াঘাটের ইউএনও জানিয়েছেন।
প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়ানো ওই নারীর হাতে প্লেকার্ডে লেখা ছিল, “স্থানীয় প্রভাবশালী মেহেদী হাসানের আক্রমণ থেকে আমার পরিবারের নিরাপত্তা পেতে মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।”
মহিলা বেগম বলেন, “চুরি-ফিতা ফেরি করে সংসার চালাই। অসুস্থ থাকায় তিন দিন বাড়িতে ছিলাম না। সেই সুযোগে রোববার [১৯ মার্চ] রাত ৮টায় মেহেদী হাসান তার লোকজন নিয়ে নিয়ে ঘরের তালা ভেঙে দখলে নেয়।
“এ সময় ঘরের আসবাবপত্র, ফেরি করা ব্যবসার মালামাল তারা নিয়ে যায়। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার।”
তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার চেয়ে পাননি। তাকে ধমক দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
ঘরটি ওই নারীর নামে বরাদ্দ স্বীকার করে ঘোড়াঘাটের ইউএনও রাফিউল আলম বলেন, “মহিলা বেগম আমার কাছে এসেছিলেন সত্য। কিন্তু ওই নারী বরাদ্দ পাবার পর তিনি ওই ঘরে একদিনও থাকেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, যে থাকবে না তার বন্দোবস্ত বাতিল করে অসহায় অন্যদের নতুন করে পুনর্বাসন করতে হবে।
“সে কারণে তার বন্দোবস্ত বাতিলের প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার সরেজমিনে তদন্ত করেছি।”
মেহেদী হাসানকে নতুন করে বন্দোবস্ত দেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মেহেদী হাসান ঘরটি দখলে নিয়েছেন বলে ইউএনও স্বীকার করেছেন।
মহিলা বেগমের নামে বন্দোবস্ত বাতিল করার আগেই মেহেদী হাসান কীভাবে ঘরের দখল নিলেন এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি ইউএনও রাফিউল আলম।