সাংবাদিক লায়েক-নুরুকে স্মরণ

“ছাত্রলীগের নেতা থেকে সাংবাদিক হওয়া লায়েকুজ্জামান এবং আবুল বাশার নুরু সারাজীবন পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন,” বলেন হাসান জাহিদ তুষার।

প্রয়াত সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান ও আবুল বাশার নুরু স্মরণে দোয়া ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘প্রাক্তন ছাত্রলীগ সাংবাদিক কোরাম’। 

স্মৃতিচারণ করে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, “ছাত্রলীগের সাবেক নেতা থেকে সমবয়সী এই দুই সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান এবং আবুল বাশার নুরু ন্যায়নিষ্ঠার প্রতীক ছিলেন। তাদের মধ্যে কোনো লোভ-লালসা কোনোদিন চোখে পড়েনি। 

“এত কম বয়সে তাদের স্মরণ সভায় আমাকে বক্তব্য দিতে হবে. এটা কল্পনাও করিনি। এই দুই সাংবাদিকের পরিবার যে কোনো প্রয়োজনে আমাকে পাশে পাবেন।” 

প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকবান্ধব। বর্তমান সংসদে তিনজন পেশাদার সাংবাদিক এমপি রয়েছেন। তারা সাংবাদিকদের হয়ে কথা বলবেন। এ সুযোগ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

“আর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা থেকে সাংবাদিক, আমার প্রিয় লায়েকুজ্জামান এবং আবুল বাশার নুরু ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়। তারা দুজন সারাজীবন পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে শুধুমাত্র সাংবাদিকতাই করেননি; প্রগতিশীল আন্দোলন, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনাকে ধারণ করে সামনের দিকে যেমন এগিয়ে গেছেন, তেমনই উত্তরসূরির মাঝে সেই আলো জ্বালানোর চেষ্টা করেছেন।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “লায়েকুজ্জামান এবং আবুল বাশার নুরুর মধ্যে কোনো দ্বৈতনীতি ছিল না। মনে যেটা লালন করতেন, সেটিই প্রকাশ করতেন।”

স্মৃতিচারণ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী বলেন, “সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান এবং আবুল বাশার নুরু বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন।”

স্মরণসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামীম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের-বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের-বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক রুহুল আমিন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাঈদ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি উত্তম চক্রবর্তী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাংবাদিক শাহনেয়াজ দুলাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক রাহাত হুসাইন।