ভবনের ছাদ ছাড়াও আন্ডারগ্রাউন্ড ও আশপাশের এলাকায় রাখা বালতি, জুতায় জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা ধ্বংস করেছে সিটি করপোরেশনের দল।
Published : 08 Jul 2023, 01:52 PM
ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে খোদ সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে।
দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের প্রধান শহরের সবচেয়ে বড় চিকিৎসালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে ভাইরাসটির বাহক এইডিস মশার লার্ভার সন্ধান মিলেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, বিপুল পরিমাণে লার্ভা পাওয়ার পর সেগুলো ধ্বংস করেছেন তারা।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বর্ষায় ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি রোগীর হাসপাতালে ভর্তি, ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যৃ এবং প্রতিদিনিই এই সংখ্যা বেড়ে চলার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এইডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ে সতর্ক থাকার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
এইডিস যেসব জায়গায় জন্ম নেয়, তার একটি নির্মাণাধীন ভবন। ঢাকায় লার্ভা খুঁজে পেয়ে বেশ কিছু ভবনের মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে গত কয়েক বছর ধরেই। এবার বহুতল ভবনে লার্ভার খোঁজে ড্রোনও ব্যবহার করছে নগর কর্তৃপক্ষ।
ডেঙ্গুর প্রকোপের বাইরে নয় সিলেট শহরও। সেখানকার রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রধান ভরসা এই ওসমানী মেডিকেলই।
কিন্তু সেখানকার নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ছাড়াও আন্ডারগ্রাউন্ড ও আশপাশের এলাকায় রাখা বালতি, জুতায় জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা জন্ম নেয়। এ নিয়ে নির্মাতা বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগই ছিল না।
ঈদের ছুটিতে ভবনের কাজ বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ। এই সময়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত সামগ্রীগুলো সতর্কভাবে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশনের দল। এর আগে নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের দুইটি স্থানেও এডিসের লার্ভা খুঁজে পায় তারা।
এই ঘটনার পর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকাটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা জানিয়েছেন সিলেট সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে যাবে। তাই আমরা ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকায় এইডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে আবান অভিযান চালাব।”
হাসপাতাল চত্বরে এমন অবহেলা কেন, এই প্রশ্নে ওসমানী মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া দায় চাপান গণপূর্ত বিভাগের ওপর।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘যে ভবনে লার্ভা পাওয়া গেছে সেটি গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বে। বিষয়টি তাদের অবহিত করা হয়েছে। আশপাশের এলাকায় যাতে পানি না জমে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।”
হাসপাতালে বর্তমানে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’’