কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যায় ২ ছাত্রলীগ নেতা রিমান্ডে

শুক্রবার পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য সোয়ানকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2024, 05:01 PM
Updated : 10 Feb 2024, 05:01 PM

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোয়ান হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই ছাত্রলীগ নেতাকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।  

শনিবার কুড়িগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মজনু মিয়া প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন।

আসামিরা হলেন- সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির বিন্দু এবং পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়া।

Also Read: আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘পিটিয়ে হত্যা’: ছাত্রলীগ নেতা আটক

সংবাদ সম্মেলনে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম ওহিদুন্নবী, সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার বিকালে শহরের খলিলগঞ্জ এলাকায় অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য শরিফুল ইসলাম সোয়ানকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোহান জেলা শহরের ঘোষপাড়ার হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। রাতে তার স্ত্রী মোসাম্মৎ রোজিনা পারভীন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা করেন। 

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় খলিলগঞ্জে সোহান একটি প্রাইভেট গাড়িতে ছিলেন। এ সময় সেখানে এক মোটরসাইকেলে করে বিন্দু ও ঝিনুক আসেন। প্রাইভেট কার সাইড না দেওয়ায় সেখানে দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে বিন্দু ও ঝিনুক সামান্য আহত হন। পরে বিন্দুর নেতৃত্বে ছয়-সাতজন মিলে সোহনকে পেটায়।

মামলার পর রাতে বিন্দু ও ঝিনুককে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল; আদালত তিন দিন মঞ্জুর করেছেন। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

বিকাল ৩টায় কুড়িগ্রাম ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সোহানকে দাফন করা হয়।