আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি এএফএম সায়েদ।
Published : 17 Aug 2024, 11:40 AM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও তৌহিদ জং মুরাদসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন আশুলিয়ার বাইপাইলে নিহত আস-সাবুরের চাচাত ভাই সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু।
“মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
নিহত আস-সাবুর (১৬) নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন মহাদেবপুর গ্রামের এনাফ নায়েদ ওরফে জাকিরের ছেলে। সে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহম্মেদ ভূইয়া, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার, যুগ্ম-আহবায়ক মঈনুল ইসলাম ভুইয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৫ অগাস্ট বেলা ১১টার দিকে আস-সাবুর নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে জামগড়ার শিমুলতলা থেকে বাইপাইলে যায়। দুপুর ২টার দিকে মামলার বাদী খবর পান তার ভাই মৃত অবস্থায় বাইপাইল মোড়ে পড়ে আছে। লোকজন নিয়ে বাইপাইল মোড়ে গিয়ে তার ভাইয়ের ক্ষত-বিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
মামলার বাদী সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু বলেন, “সাবুরের মরদেহ উদ্ধারের পর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি ঘটনার দিন এক থেকে দেড় হাজার বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারী বাইপাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এসময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে ও গুলি বর্ষণ করেছে।
“আসামিদের মারপিট ও গুলিতে সাবুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি মহাদেবপুর বাস স্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।”