নওগাঁয় গভীর রাতে ভূমি কর্মকর্তার বাসায় হামলা

নওগাঁর নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউল করিমের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আওয়াল নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁর সহকারী পুলিশ সুপার (নিয়ামতপুর, মান্দা সার্কেল) জাকিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, নিয়ামতপুর থানার ওসি হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

রেজাউল করিম বলেন, “আমি রাতে শুয়ে ছিলাম; হঠাৎ একটি শব্দ পেলাম। প্রথমে কিছু মনে করি নাই। কিছুক্ষণ পর আবারও একটি শব্দ পেলাম। পরে পাশের রুমে গিয়ে জানালার গ্লাসে দুটো ফুটো দেখি। একটি বড় আরেকটি ছোট। এর কিছুক্ষণ পর আবারও একটি শব্দ হয় এবং আমার মাথার কয়েক ইঞ্চি দূর দিয়ে কিছু একটা চলে যায়।

“আমি সঙ্গে সঙ্গে জানালার বাইরে দেখার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না। ঘরের মেঝেতে তিনটি ধাতব পদার্থ পড়ে রয়েছে। সেগুলো পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে। তারাই বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানাবেন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, “রাত ১টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউল করিম আমাকে ফোন করে জানান, কে বা কারা তার বাড়িতে হামলা করেছে। আমি তাৎক্ষণিক আনসার সদস্যকে সেখানে পাঠাই। কিন্তু কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।

“পরে আশপাশে তল্লাশি করে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তিনটি গুলির মত ধাতব পদার্থ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন রেজাউল।”

নিয়ামতপুর থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেছেন, “এজাহার পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাসার বাইরে সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আওয়াল জানান, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক জলাশয়, খাস জমি দখলে নেন দলটির নেতাকমীরা।

“সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউল করিম এসব জলাশয়, খাসজমি উদ্ধারে কাজ করছিলেন। এ কারণে ও তার ওপর হামলা হতে পারে।”

তদন্তের পর এ হামলার আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।