শুধু পার্বত্য অঞ্চল নয় সারাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে সুপ্রদীপ চাকমার ভাষ্য।
Published : 26 Aug 2024, 09:36 PM
তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে অন্যদের পাশাপাশি ছাত্র প্রতিনিধি রাখার কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেছেন, “জেলা পরিষদ পুনর্গঠন নিয়মের ভেতরে যা আছে তাই হবে। এখানে বাড়ানো বা কমানোর কোনো সুযোগ নাই। তবে সেখানে ছাত্র প্রতিনিধি থাকলে ভাল হয়।”
সোমবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
একদিনের সফরে বেলা ১১টায় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন সুপ্রদীপ চাকমা। দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
পাহাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, শুধু পার্বত্য অঞ্চল নয় সারাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি; যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।
মতবিনিময় সভায় হওয়া আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “চাঁদা যখন নিজের পকেট থেকে যায় তখন খুব কষ্ট হয়। এগুলো হওয়া ঠিক না। চাঁদাটা বন্ধ হওয়া দরকার।
“শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসা দরকার। অনেক কিছুই দেখি, যা বান্দরবানে হচ্ছে। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার, যাতে মানুষের জীবনে সুখ ফিরে আসে।”
২০২২ সাল থেকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ইস্যুতে বান্দরবানে কয়েকটি পর্যটন এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাওয়া হলে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে চিন্তা করতে হবে পরিস্থিতি কতটুকু উন্নতি হয়েছে। এরপর চিন্তা করতে হবে কী করা যায় না যায়।
“কোনো পর্যটক যদি ওই এলাকায় গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন, তখন নিউজটা আপনারাই করবেন! খুব নেগেটিভলি। এমন সুযোগ আমাদেরকে দেবেন না, যাতে কেউ ভিকটিম হয়।”
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার পরিকল্পনা খুবই সিম্পল। জনগণের মঙ্গলের জন্য, এই এলাকার মানুষের জন্য যা যা করা দরকার, সবকিছু করব।
“মানসম্মত শিক্ষা আমার প্রিয় বিষয়। কারণ সমতলে যেভাবে হচ্ছে, সেভাবে পাহাড়ে হচ্ছে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কোথাও গিয়ে কোনো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।
“সুতরাং মানসম্মত শিক্ষা খুবই প্রয়োজন। সকাল-বিকাল কিছু খেয়ে থাকতে হবে। জীবনমান বাড়াতে হবে। জীবনমান বাড়লে ছেলে-মেয়েরাও ভাল হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। বাচ্চারা ভাল প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে।”
মতবিনিময় সভায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সভাপতিত্বে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনোয়ারুল হক, ডিজিএফআই জেলা প্রধান কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ জামশেদ, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন মো. শায়েখ উজ জামানসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।