১৬ অগাস্ট রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ার বাসভবন থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Published : 03 Sep 2024, 01:14 AM
আগুনে পুড়ে চারজন নিহতের ঘটনায় সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
মামলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নিহত আবু রায়হানের বাবা ফজলে আলম ওরফে রাসেদ (৫৩) বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে মামলাটি করেন বলে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান।
বিচারক নিত্যানন্দ সরকার মামলাটি ঠাকুরগাঁও সদর থানাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে- ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অরুনাংশু দত্ত টিটো, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক একরাম।
মামলার বরাতে আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, আবু রায়হানসহ নিহত চারজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল। ৫ অগাস্ট আসামিদের মধ্যে একজন আবু রায়হান, রাকিবুল হাসান (রকি), আল মামুন (মামুন) ও শাওন পারভেজকে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাদের একটি ঘরে নিয়ে আটকে গ্যাস সিলিন্ডারের মুখ খুলে বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আগুনে দগ্ধদের চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু রায়হানকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ অগাস্ট তার মৃত্যু হয়।
আল মামুন (মামুন) ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়। এ ছাড়া অন্য দুজনেরও মৃত্যু হয়।
১৬ অগাস্ট রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ার বাসভবন থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাকে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: