২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক৷
Published : 05 Nov 2023, 04:59 PM
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তা ও মামলাটির তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা৷
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল সাক্ষ্য গ্রহণ করেন৷
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাক্ষীকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জেরা করেন বলে জানান আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) রকিবউদ্দিন আহমেদ৷
তিনি বলেন, আজ সাক্ষ্য দিয়েছেন সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পরীক্ষক রবিউল ইসলাম এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম৷
“ফরেনসিক কর্মকর্তা সাক্ষ্যে বলেছেন, এ মামলার জব্দকৃত আলামত-তোয়ালে, টিস্যু, সাবান, ব্রাশের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তোয়ালেতে পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া গেছে৷ শুক্রাণুর ডিএনএ এবং মামুনুল হকের সংগৃহীত রক্তের ডিএনএ মিলেছে”, বলেন পিপি৷
তিনি আরও জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার পূর্ণাঙ্গ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করা যায়নি৷ আগামী তারিখে তার বাকি সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে৷ এ পর্যন্ত এ মামলায় ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন৷
আসামি পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, “সাক্ষীদের আমরা জেরা করেছি৷ তাদের বক্তব্য এবং উপস্থাপিত কাজপত্রের মধ্যে অসংলগ্নতা পাওয়া গেছে৷ আমরা শুরু থেকেই বলছি, রাজনৈতিক কারণে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা হয়েছে৷ মামলার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন বলেই আমরা আশাবাদী৷”
সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে৷ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান৷
সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীন আদালত প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিল। আদালতের বাইরে মামুনুল হকের অনুসারীরা অবস্থান নেন। কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন অনুসারীরা।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক৷ পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেন অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এদিকে রিসোর্টের ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের’ অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী৷
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]