মাস খানেক আগে পরকীয়ায় জড়িয়ে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ফরিদের স্ত্রী ফাতেমা।
Published : 01 Jun 2024, 07:36 PM
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মারধরে এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি, শ্যালিকা ও শ্যালিকার জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামে এই ঘটনার পর নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক।
নিহত ২৭ বছরের মো. ফরিদ মিয়া বামনগাঁও গ্রামের মো. হাশিম উদ্দিন ও মো. ফরিদা খাতুন দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি কুমিল্লায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের সর্দার হিসেবে কাজ করতেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নিহতের শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৪৫), তার মেয়ে কুলসুমা আক্তার (১৯) ও মেয়ের জামাই ছায়েদ আলী (২২)।
মামলা ও স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, দুই বছর আগে একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত আবু সিদ্দিকের বড় মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে ফরিদের বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ মাস বয়সের এক ছেলে রয়েছে।
কাজের সূত্রে ফরিদ বেশিরভাগ সময় কুমিল্লায় থাকতেন। নবজাতককে নিয়ে স্ত্রী ফাতেমা তার বাবার বাড়তেই থাকতেন। এ সময় ফরিদ শ্বশুর বাড়িতে একটি সোলার সিস্টেম লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
তবে মাস খানেক আগে ফাতেমা পরকীয়ায় জড়িয়ে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
ওসি বলেন, “এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ বাড়িতে আসেন ফরিদ। পরে শ্বশুর বাড়িতে লাগানো সোলারটি নিয়ে আসতে শুক্রবার সকালে সেখানে যান ফরিদ। তখন শাশুড়িসহ বাড়ির লোকদের সঙ্গে তার বিবাদ বাধে।
“এক পর্যায়ে সবাই মিলে ফরিদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে ফরিদকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। “
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমন পাল বলেন, “হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ফরিদের মৃত্যু হয়েছে।”
ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা ফরিদা খাতুন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এছাড়া নিহতের শাশুড়িসহ গ্রেপ্তার করা তিনজনকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।