সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইউপিডিএফ এর ওই আস্তানা থেকে ‘অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম’ পাওয়া গেছে।
Published : 07 Mar 2025, 08:41 PM
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ এর একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়ার কথা বলেছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার বিকালে সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ জুনাইদ উদ্দীন শাহ চৌধুরী। এ সময় রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহমুদ খান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইউপিডিএফ এর ওই আস্তানা থেকে ‘অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম’ পাওয়া গেছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনাইদ উদ্দীন বলেন, “শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাউখালী এলাকায় ইউপিডিএফের (প্রসিত খীসা) স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। অভিযানের ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। তবে সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।”
পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি পিস্তল, ১৭টি গুলি, একটি বাইনোকুলার, একটি ওয়াকি-টকি, একটি হার্ডডিস্ক, সংগঠনটির ইউনিফর্ম ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারের তথ্য দেন তিনি।
এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, “অভিযানের সময় কিছু পাহাড়ি নারী বিক্ষোভ করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন। তবে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।”
জুনাইদ বলেন, “কিছু দিন আগে কয়েকটি পাহাড়ি সংগঠনের অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ঢোকার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা আটক করেন; যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
“পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারী এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি এমন সব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলমান থাকবে।”
এদিকে বিকালে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনাটিকে ‘নাটক’ আখ্যায়িত করেছে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
হিল উইমেন্স ফেডারেশন কাউখালী উপজেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মামুনি মারমার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কাউখালি উপজেলা শাখার সভাপতি শান্তনা চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি রত্না চাকমা দাবি করেন, ভোরে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি দল ডেবাছড়ি গ্রামে ঢুকে বেশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
“এ সময় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বাড়ির জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে দেয়। পরে তারা ‘অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারের’ মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচার করে।“
তল্লাশির প্রতিবাদ করায় এক নারী ও এক শিশুকে ‘লাঞ্ছিত’ করার অভিযোগ তুলে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।