ঈদযাত্রায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ২৩টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিসি।
Published : 15 Jun 2024, 02:51 PM
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে ঘাটে চাপ বাড়লেও পারাপারে তেমন ভোগান্তি নেই বলে দাবি বিআইডব্লিউটিসির।
শনিবার সকাল থেকে ঘাটে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ।
সরেজমিনে পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী শত শত মানুষ ফেরি ও লঞ্চে করে নদী পাড়ি দিচ্ছেন। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য নৌ পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসির খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ২৩টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে যানবাহন আসা মাত্র অপেক্ষায় না থেকে দ্রুত নদী পার হয়ে যাচ্ছে।
সকালে পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের কিছুটা চাপ বাড়লেও ভোগান্তি নেই; তবে মোটরসাইকেল আরোহী ও সাধারণ যাত্রীর সংখ্যা বেশ ছিল বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “নদীতে পানি বাড়ায় পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিক সময় চেয়ে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে।”
ফেরি ঘাটে ‘কাটা গাড়ির’ যাত্রীর চাপ
সাভার-আশুলিয়ার নবীনগর, ঢাকার গাবতলি থেকে লোকাল (কাটা গাড়ি) গাড়িতে করে যাত্রীরা ফেরিঘাটে যাচ্ছেন। পরে সুবিধামতো ফেরি, লঞ্চ কিংবার ট্রলারে করে ঘাট পার হচ্ছেন।
তবে ঘাট এলাকায় দূর পাল্লার চেয়ে কাটা গাড়ি ও প্রাইভেট কার যাত্রীর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
ঢাকার বাড্ডা থেকে গরুর ট্রাকে করে চুয়াডাঙ্গায় যাচ্ছেন মারুফ। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এলাকার অনেক ব্যবসায়ী গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। গরু বিক্রি করে তারা বাড়ি ফিরছেন। ওই ট্রাকে করে ১৫ থেকে ২০ জন বাড়ি যাচ্ছি।”
কুষ্টিয়াগামী আসাদ জানান, “মিনি ট্রাকে করে বাইপাইল থেকে ঘাট পার হয়ে বাড়ি যাচ্ছি। কষ্ট হলেও ঈদযাত্রা আনন্দের।”
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ ও যানবাহন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ হয়ে চলাচল করে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই পথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। তবে ঈদের সময় এই চাপ কিছুটা বেড়ে যায়।