বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, “এসময়ে কোনো কৃষকের ক্ষেতে সেচ দিতে যাওয়ার কথা নয়।”
Published : 25 Jan 2025, 01:34 PM
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার ভোরে সীমান্ত এলাকার গমের জমিতে সেচ দিতে গেলে ওই কৃষক গুলিবিদ্ধ হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেদ আলী।
তবে গুলির শব্দ শোনার কথা জানালেও কেউ আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি ৫৯ বিজিবির মহানন্দা ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
আহত ৩০ বছর বয়সী হাবিল আলী একই এলাকার লম্বা টোলা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
ইউপি সদস্য কাশেদ আলী জানান, হাবিল আলী ভোরে সীমান্ত এলাকার তার গমের জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন। এসময় বিএসএফের সদস্যরা গুলি ছুড়লে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
এই বিষয়ে ৫৯ বিজিবির মহানন্দা ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ২-৩টি গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে জানতে চাওয়া হবে। তবে কারো আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, “এসময়ে কোনো কৃষকের ক্ষেতে সেচ দিতে যাওয়ার কথা নয়।”
বিজিবিকে না জানিয়ে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় না যাওয়ার কথাও বলেন এই বিজিবি কর্মকর্তা।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হাবিলকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার শংকর কে দাস।
তিনি বলেন, আহত ব্যক্তির বুকে ডানপাশের উপরে গুলির আঘাত রয়েছে, তাকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।
হাবিলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা চাচাতো ভাই কবির হোসেনের দাবি, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে জমিতে সেচ দিতে গিয়েছিল তার ভাই। তখন বিএসএফ গুলি ছোঁড়ে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বেলা উঠার পর প্রায়ই লোডশেডিং থাকায় স্থানীয় কৃষকরা ভোরেই জমিতে সেচ দিতে যান।”
কিছুদিন আগে চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার, কিরণগঞ্জ ও চৌকা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে এবং কাঁচা গম ও গাছ কাটা নিয়ে দু দেশের কৃষকের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনা ঘটে।
পরে দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে শান্তিপূর্ণ সহাঅবস্থান নিশ্চিতে সীমান্তের দেড়শ গজের মধ্যে বাংলাদেশি ও ভারতীয় কৃষক ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়াসহ চার বিষয়ে ঐকমত্য হয়।
এ সীমান্তে বর্তমানে শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে।