টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে যৌন-নিপীড়নের অভিযোগে দপ্তরি গ্রেপ্তার

পুলিশ জানায়, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে দপ্তরির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে যৌন-নিপীড়নের অভিযোগে দপ্তরিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এরপর বুধবার সকালে ওই শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে দপ্তরির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার কাজী সুমন মিয়ার (৪২) বাড়ি ওই উপজেলায়।

শিক্ষার্থীর চাচা বলেন, “এর আগেও দপ্তরি সুমন আমার ভাতিজির সঙ্গে এমনটা করছে। ভয়ে আগে বাড়িতে বলে নাই। দপ্তরির সুমনের কাছে প্রাইভেট পড়ে আমার ভাতিজি। শরীরে জখম দেখতে পেলে ওর মা জিজ্ঞাসা করলে কান্নাকাটি করে সব কিছু বলে দেয়। আরেক ছাত্রী যদি না থাকত তাহলে বড় ধরনে অঘটন হত।”

ওসি জালাল বলেন, “স্কুল ছুটি হওয়ার পর দুইজন শিক্ষার্থী দপ্তরি সুমনের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেটের এক পর্যায়ে এক ছাত্রীকে অন্য ঘর থেকে চশমা নিয়ে আসতে বলে। সেই সুযোগে দপ্তরির কাছে পড়তে থাকা আরেক ছাত্রীকে যৌন-নিপীড়ন করেন।”

তিনি বলেন, “চশমা নিয়ে এসে দেখতে পেলে অন্য ছাত্রীকে ছেড়ে দেন সুমন। প্রাইভেট শেষ করে বাড়ি আসলে ওই ছাত্রীর শরীরের জখম দেখতে পান তার মা। পরে জিজ্ঞেস করলে কান্নাকাটি করে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।”

ওসি আরও বলেন, “পরে ওই ছাত্রীর পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানায়। সেনাবাহিনী পরে আমাদেরকে জানায়।”

এ ঘটনায় রাতেই দপ্তরিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ এই কর্মকর্তা।