সিলেটের প্রবাসীদের মৃত্যু: বাসার চার আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ

ঘটনার বিস্তারিত জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

মঞ্জুর আহমেদসিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2022, 02:03 PM
Updated : 26 July 2022, 02:03 PM

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার অচেতন অবস্থায় উদ্ধার একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মধ্যে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় বাসার অন্য চার স্বজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের একটি ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনের মৃত্যু হয়েছে; আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বড়দিরারাই এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে পঞ্চাশোর্ধ্ব রফিকুল ইসলাম এবং তার ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৮)।

আহতরা হলেন- রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা ইসলাম (৪০), তাদের মেয়ে সামিরা ইসলাম (১৯) ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২১)। সবাই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পর পরই তাজপুর এলাকার ঝলক সাহার ওই বাড়িতে যান সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পরে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে সবাই এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে আত্মীয়রা সেই দরজা খোলার চেষ্টা করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দরজা বন্ধ পায়। দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে।

“তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর বাবা ও ছোট ছেলে-এই দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছে। আর মা ও মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছেলে সাদিকুল চিকিৎসাধীন।”

“সার্বিকভাবে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, এটা একটা পয়জনিংয়ের ঘটনা ঘটতে পারে।”

এ ঘটনায় নিহত রফিকুলের শ্বশুর আনফর আলী, শাশুড়ি বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন ও শ্যালকের স্ত্রী শোভা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওসমানীনগর থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।

সন্ধ্যায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরও বলেন, “এখনও বলার মতো কিছু পাইনি। পরবর্তীতে আমরা জানাব।”

পুলিশ জানায়, পরিবারের সবাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। এ মাসেই তারা এখানে আসে। তাদের বাড়ি ওসমানীনগরে। পরিবারের একটি ছেলে অসুস্থ ছিল। চিকিৎসার সুবিধার্থে তারা এই বাসাটি ভাড়া নেয়। এবং ১৮ জুলাই থেকে তারা এই বাসায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন।

রফিকুল ইসলামের শ্বশুর-শাশুড়ি এবং শ্যালকরা এই বাসায় ছিলেন। তাদের সঙ্গেই একটি কক্ষ ভাড়া নেন রফিকুল।