সোমবার ‘জুলাই গণহত্যা বিচার নিশ্চিত পরিষদ’ ব্যানারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
Published : 23 Sep 2024, 06:00 PM
‘জুলাই গণহত্যা’র সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রতীকী অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার ‘জুলাই গণহত্যা বিচার নিশ্চিত পরিষদ’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
পরে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে গিয়ে ২০ মিনিটের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রতীকী অবরোধ করেন তারা।
এ সময় সরকারের কাছে তিন দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে খুনি-দোসরদের চিহ্নিত করে গঠনমূলক সরকারি মামলা নিশ্চিত করা, সাত দিনের মধ্যে সারাদেশের খুনি-দোসরদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা, তিন মাসের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাভার এলাকার নিহত আলিফের বাবা বলেন, “পিতার ঘাড়ে সন্তানের লাশ, এর থেকে কষ্টের আর কিছুই হতে পারে না। এক হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও তাদেরকে এখনো বিচারের আওতায় আনা হয়নি। সাভারেও অনেকে শহীদ হয়েছে কিন্তু একজন আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।”
“এ ছাড়া জুলাই হত্যার খুনিরা সাধারণ ছাত্রদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-যুবলীগ বুক ফুলিয়ে হাঁটছে। আমার ছেলে শহীদ হয়েছে, আমি তার সহযোদ্ধা ছিলাম এখন আমার ছেলে আন্দোলনে যোগ দিতে পারবে না কিন্তু আমি আন্দোলনে যোগ দেব। প্রয়োজনে দেশের জন্য আবারও নিজের বুক পেতে দেব।”
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সাভারে নিহত শ্রাবণ গাজীর বাবা মান্নান গাজী বলেন, “এই আন্দোলনে বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে যেভাবে ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছে এতে হাজার হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে। এতে আমার ছেলে শ্রাবণ গাজীও এই সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। আমার দাবি একটাই, এই সন্ত্রাসী বাহিনীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, “আপনারা দেখেছেন সাভার আশুলিয়ায় যারা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তাদের বিচার এখনো হয়নি। ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই যারা ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছিল তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
“আগামী সাতদিনের মধ্যে সারাদেশে সব খুনিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা যদি মনে করেন আমরা ঘরে ঢুকে গেছি তাহলে আপনারা ভুল করবেন। আমাদের গণঅভ্যুত্থান এখনো শেষ হয়নি।”