‘পরিত্যক্ত’ বিয়ানীবাজার জাতীয় গ্রিডকে দিচ্ছে আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স পরিত্যক্ত ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে আরও গ্যাসের মজুত পায়।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2022, 03:22 PM
Updated : 27 Nov 2022, 03:22 PM

সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।

সোমবার থেকেই এ গ্যাস সরবরাহ করা হবে জানিয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক বলেন, “রোববার গ্যাস সরবরাহের সব কারিগরি প্রস্তুতিমূলক কাজ হয়েছে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে সাত থেকে আট মিলিয়ন গ্যাস গ্রিড লাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।”

রোববার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, “বর্তমানে এই কূপের তিন হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে, ওই কূপ থেকে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব।“

“কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক সাত থেকে আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) কর্তৃপক্ষ জানায়, বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রটি এসজিএফএলের আওতাধীন। এই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে।

১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

এরপর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) পরিত্যক্ত ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে আরও গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনঃখনন কাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। পুনঃখনন শেষে ১০ নভেম্বর থেকে কূপে গ্যাসের মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

সিলেটে বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হচ্ছে- হরিপুর গ্যাস ফিল্ডস, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডস, ছাতক গ্যাস ফিল্ডস, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডস ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডস।

এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ডস পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।