আহতদের মধ্যে ২০ জনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
Published : 11 Dec 2024, 09:27 PM
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন এবং চরফ্যাশন উপজেলা সাবেক সভাপতি ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
বুধবার দক্ষিণ আইচা থানার এসআই খালেক জানান, দক্ষিণ আইচা বাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলমের দলের মিরাজ, ইউসুফ, মোস্তফা দিদার ও আশরাফুল এবং যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম নয়নের অনুসারী নূর নবী রনি, পাভেল, আমিনুল ইসলাম মাইনুল, রাশেদ, লিটন ও হাসনাইন।
নাজিম উদ্দিনের পক্ষের দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক মাস্টার বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর করিমপাড়া এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করার জন্য বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বাজারের বিএনপির প্রধান অফিসে জড়ো হতে শুরু করেন।
“এ সময় বিএনপির আরেক দলের নেতাকর্মীরা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের কিছু সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা কর্মীদের ওপর মরিচের গুঁড়ো ছুড়ে মারে। এতে বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলমের পক্ষের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হন।”
তিনি বলেন, “আলম-নয়ন গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলার পর পরই আবারও নয়নের দলের মধ্যেই লোকজন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। তখন তাদের মধ্যেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।”
নুরুল ইসলাম নয়নের পক্ষের বিএনপি নেতা আবুল বাশার বলেন, “আমরা নুরুলের পক্ষে মিছিল করার জন্য দক্ষিণ আইচা থানা থেকে অনুমোদন নিয়েছি। আমাদের লোক কাউকে হামলা করেনি। উল্টো আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ২৮ নেতা কর্মী আহত হয়েছে।
“আমাদের নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন সাহেব বিএনপি'র দলে কোন অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা দেয় না। আমাদের দলে কোনো গ্রুপিং নেই।”
এসআই খালেক বলেন, “হামলার ঘটনার সময় থানা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেছে। এতে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক আহত হয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।”
তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।