শেরপুরের ঝিনাইগাততে শিশু অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১৫ বছর ধরে পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পোতাহার (পালশাপাড়া) থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জামালপুর র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।
গ্রেপ্তার আসামি মিজানুর রহমান (৩৭) ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে।
শুক্রবার র্যাব-১৪ দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, ২০০৮ সালে গাজীপুর জয়দেবপুর থানাধীন ছয়দানা গ্রামের মোস্তফার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মিজানুর রহমান। মোস্তফার ছেলে ১০ বছরের আমিনুর ইসলাম সুমন মাদ্রাসায় পড়তেন।
ওই বছরের ১১ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মিজানুর রহমান সুমনকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
বাড়িতে না ফেরায় সুমনকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তার বাবা মোস্তফার মোবাইলে ছেলের অপহরণের কথা জানিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন মিজানুর।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুমনকে উদ্ধার করলেও পালিয়ে যান মিজানুর।
এ ঘটনায় সুমনের বাবা জয়দেবপুর থানায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
সেই মামলায় ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন।
র্যাব আরও জানায়, ঘটনার পর থেকেই দীর্ঘ ১৫ বছর মিজানুর রহমান দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। সম্প্রতি তিনি রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুরের র্যাব-১৪, সিপিসি-১ এবং রাজশাহীর র্যাব-৫, সিপিএসপি এর যৌথ অভিযানে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিজানুর রহমানকে ঝিনাইগাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব।