সুইজারল্যান্ডে জাতীয় শোক দিবস পালন

আলোচনায় প্রায় সকলেই জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পেছনে থাকা পরিকল্পনাকারী ও সুবিধাভোগকারী সকলকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

প্রবাস ডেস্ক
Published : 18 August 2022, 04:34 PM
Updated : 18 August 2022, 04:34 PM

যথাযথ মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস।

স্থানীয় সময় সোমবার জেনিভায় বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক এর উপস্থিতিতে, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান আহমেদ তন্ময় তাহসিনের সঞ্চালনায় দূতাবাস হলে এ উপলক্ষে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়।

শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করার পর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতারা।

এরপর এ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন ইকোনমিক মিনিস্টার আল আমিন প্রামাণিক, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দেবব্রত চক্রবর্তী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর কামরুজ্জামান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব (বাণিজ্য) আলমগীর কবির। এ সময় বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতার তুলে ধরেন এবং প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরেন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার উপর জোর দেন। সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান বৈশ্বিক অস্থিরতাকে পুঁজি করে দেশে ও প্রবাসে স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার রুখে দেওয়ার আহ্বান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা আব্দুর রব, অশোক কুমার সরকার রবি, আবু সালেহ্ প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম আজাদ, সুইজারল্যান্ড শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক কল্যান পাল, আওয়ামী লীগ নেতা বিপুল তালুকদার, সুমন ভূইয়া, গৌরি চরন সসীম, আইয়ান জুনায়েদ এবং মোমিন খান।

আলোচনায় প্রায় সকলেই জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পেছনে থাকা পরিকল্পনাকারী ও সুবিধাভোগকারী সকলকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। সেইসাথে বিদেশে পলাতক সাজা প্রাপ্তদের অতি দ্রুত দেশে এনে সাজা কার্যকর করার দাবিও জানান আলোচকরা।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহর থেকে বিপুলসংখ্যক বঙ্গবন্ধু প্রেমিক এবং তাদের পরিবারবর্গ এই মহতি আয়োজনে অংশগ্রহন করেন।

আবু বকর মোল্লার পরিচালনায় দোয়া ও মোনাজাত এবং সেই সাথে ঐতিহ্যবাহী খিচুড়ি বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।