মামলার কারণে চার বছর ধরে ঝুলে থাকার পর অবশেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটির’।
প্রায় ২৮ হাজার ভোটারের এ নির্বাচন আসছে ১৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের পাঁচটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম আজিজ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “গত দুদিনে পাঁচটি মামলা হয়েছিল নির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে। আমরা সার্বক্ষণিক আদালত চত্বরে অ্যাটর্নিসহ উপস্থিত থাকায় সবকটি মামলা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মাননীয় আদালতের নির্দেশেই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
সোসাইটির এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও ১৯ অক্টোবর আদালতের স্থগিতাদেশ এসেছিল। এর তিন বছর পর আদালতের ঝক্কি-ঝামেলা মোটামুটি দূরে ঠেলে পুনরায় নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়, সে তারিখ ছিল গত বছরের ১৪ নভেম্বর। সেই নির্বাচনের বিরুদ্ধেও মামলা হয় এবং স্থগিতাদেশ এসেছিল ১২ নভেম্বর। তৃতীয় দফার তারিখ হচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ ভোটারের কেউই নিশ্চিত হতে পারছিলেন না।
এমন দ্বিধা-দ্বন্দের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড অব ট্রাস্টির পক্ষ থেকে ‘দৃঢ় অবস্থানের’ ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান এম আজিজ। সে অনুযায়ী শেষ মুহূর্তের মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় ঠেকাতে একজন অ্যাটর্নি নিয়োগ করেন এবং সেই অ্যাটর্নিসহ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার আদালত চত্বরে অবস্থান নিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাজনিত পরিস্থিতি এবং তা মোকাবেলায় কী করেছেন তা জানান বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার। আরও উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য মফিজুল ইসলাম, ওয়াসি চৌধুরী, শরাফ সরকার, আজিমুর রহমান বোরহান, সোসাইটির সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী এবং কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী।
এদিকে ভোট অনুষ্ঠানে ‘আর কোন বাধা নেই’ বলে জানান নির্বাচন কমিশনের প্রধান জামাল আহমেদ জনি।