‘স্বৈরাচারীরা ফিরে এলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে’ বলে দাবি করেন তারা।
Published : 27 Mar 2025, 12:10 AM
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারীদের মধ্যে কোন ধরনের অনুশোচনা নেই। তারা কত মানুষের রক্তবন্যা বইয়ে দিয়েছে, সেটিও স্বীকার করতে চাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের এলমহার্স্টে একটি পার্টি হলে এ অভিযোগ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিউ ইয়র্ক স্টেট বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পক্ষে বক্তব্য দেন তিনি।
গিয়াস বলেন, “পতিত স্বৈরাচারীরা যদি উঠে দাঁড়াতে পারে তাহলে আবারো হত্যা, জুলুম-নির্যাতন, লুটতরাজে মেতে উঠবে। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে, অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।
‘স্বৈরাচারীরা ফিরে এলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে’ দাবি করে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদকে আমরা বিদায় করেছি গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য। যে গণতান্ত্রিক অধিকার আমার ছিল না, ভোটের অধিকার ছিল না, আমার সরকার আমি নির্বাচিত করতে পারিনি, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমার সরকার নির্বাচিত করে দিত।”
সালাম আরও বলেন, “যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা আবার সেই আধিপত্যবাদী শক্তিকে বাংলাদেশে আনতে চায়। জুলাই-অগাস্ট অভ্যুত্থানে শহীদের রক্তঋণ শোধের জন্যই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।”
অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, “অনেক ত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে, তার সুফল পেতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।”
আরো বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, রীতা রহমান ও স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিমউদ্দিন।
সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করেন নেতা-কর্মীরা।