যুক্তরাষ্ট্রে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের ফেরানোর উদ্যোগ

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2020, 04:23 AM
Updated : 24 April 2020, 04:23 AM

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ জানান, ইতোমধ্যে দুই শতাধিক বাংলাদেশি দূতাবাসে যোগাযোগ করে নাম নিবন্ধন করেছেন। এখন ফ্লাইট ভাড়া করার চেষ্টা চলছে।

ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী, চিকিৎসা নিতে আসা ব্যবসায়ী এবং আটকা পড়া সরকারি কর্মকর্তারাও আছেন দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধিতদের তালিকায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন এর আগে টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, যারা দেশে ফিরতে চান, নিজেদের টাকাতেই তারা ফিরবেন। সরকার সমন্বয়ের কাজটি করবে।

“বাংলাদেশ থেকে মার্কিন নাগরিকেরাও চার্টার করা বিমানের ভাড়া হিস্যা অনুযায়ী পরিশোধ করে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন।”

এ পর্যন্ত চীন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, নেপাল, তুরষ্ক ও মালয়েশিয়া কয়েকটি দেশ থেকে ভাড়া করা ফ্লাইটে কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে ফেরানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখনও সে প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।

দেশে ফেরার পর সবাইকেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

যারা তা মানবেন না, আইনে তাদের জরিমানা করারও সুযোগ রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন পাররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা বাংলাদেশে ফিরেছেন, তাদের বিমানে ওঠার আগেই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে।

ঢাকায় নামার পর তাদের সবার তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। কারও মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের আবারও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

প্রবাসীদের অনেকে নিজের বাড়িতে গিয়ে নিয়মমাফিক কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না বলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

করোনাভাইরাস মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের। দুদিক দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে এখন শীর্ষে।

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৪১৮৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।