সচিব হওয়ায় রাষ্ট্রদূত মাসুদকে নিউ ইয়র্কবাসীর সংবর্ধনা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনকে সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2019, 06:34 AM
Updated : 31 Oct 2019, 06:34 AM

বুধবার রাতে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে যৌথভাবে এ সংবর্ধনা-সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।

আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আন্তর্জাতিক নারী বিষয়ক সম্পাদিকা সবিতা দাস এবং যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু।

এসময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনকে ফুল ও পদক দেয় দুই আয়োজক সংগঠন।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুর স্থায়ী সমাধান এবং ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ভূমিকার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা কূটনৈতিক পর্যায়ে দেন-দরবার অব্যাহত রেখেছি। একইসঙ্গে প্রবাসীরাও যদি নিজ নিজ এলাকার সিনেটর-কংগ্রেসম্যানসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতনামা থিঙ্কট্যাংক, মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজের সঙ্গে দেন-দরবার চালান তাহলে বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে।”

এ প্রসঙ্গে তিনি আর্মেনিয়ার গণহত্যা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি রেজ্যুলেশনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “টানা লবিংয়ের সুফল হিসেবে ২৯ অক্টোবর কংগ্রেসে একটি বিল পাশ হয়েছে বর্বরতার ১০৪ বছর পর। আমাদেরকেও ধৈর্য হারালে চলবে না। সভা-সমাবেশের পাশাপাশি পাকিস্তানি হায়েনাদের বর্বরতার আলোকে সিনেমা তৈরি করা যেতে পারে। নাটক, নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ করা যেতে পারে। তাহলে জনমত জোরদার করা সহজ হবে।”

মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা, নিউ ইয়র্কে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রতিষ্ঠা এবং যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি।

নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক ছাড়বেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত মাসুদ।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক, আবুল বাশার চুন্নু, ফারুক হোসেন, খোরশেদ আনোয়ার বাবলু, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও আব্দুল আওয়াল।

আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি নূরএলাহি মিনা, খোরশেদ খন্দকার, জয় চৌধুরী, নিলুফা শিরিন, জাফরউল্লাহ, আলিম খান, শুভ রায়, আশরাফ হোসেন লিটন, উইলি নন্দি, ফাহাদ সোলায়মান, এ টি এম মাসুদ, নাজিম উদ্দিন, এটিএম আলম, সাহাবউদ্দিন চৌধুরী লিটন জে চৌধুরী, কানু দত্ত, আবুল কাশেম, শাহাদৎ হোসেন, রিজু মোহাম্মদ ও শাহ ফারুক।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!