শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ ব্যানারে এক র্যালি শেষে সমাবেশে বক্তব্যকালে বক্তারা একথা বলেন।
প্রবাসীরা বলেন, শেখ হাসিনার চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ও সাম্প্রদায়িকতার লড়াইয়ে তারা সবসময় পাশে থাকবেন।
সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বারি
বলেন, “চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে বলে ছড়ানো উদ্ভট-অবান্তর গুজব থেকে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক শক্তির নগ্ন উত্থানের হোলি-খেলা এখনও চলছে ধর্মান্ধদেরে কলকাঠিতে। সর্বশেষ ভোলার ঘটনাও একইসূত্রে গাঁথা হলেও এতে সরকারের চলমান দুর্নীতি-ক্যাসিনো-সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে যারা টার্গেট তারাও যুক্ত হয়েছে।”
“ধর্মীয় চরমপন্থি আর প্রগতির লেবাস লাগিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া দুর্বৃত্তরা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে।”
রেজাউল বারি আরো বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রবাসীরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। তাই কোন অপশক্তিই বাংলাদেশকে আর পিছিয়ে নিতে পারবে না।’
এর আগে সূচনা বক্তব্যে এ উদ্যোগের অন্যতম আয়োজক সাংবাদিক মোজাহিদ আনসারী বলেন, “বাংলাদেশের প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার বিরুদ্ধে তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের মাতৃভূমিকে রক্তাক্ত করা হচ্ছে। একাত্তরে আমরা যে চেতনায় বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, সেটি ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। সেই বাংলাদেশের মূলে আজ কুঠারাঘাত করা হচ্ছে।”
“ধর্মের নামে আজ ধর্মান্ধ শক্তি আজ রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করছে। মিথ্যা একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে লোকজনকে। এরপর তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেশী হিন্দুদের রক্ষায় এগিয়ে যাওয়া মুসলমান পরিবারের বাড়িতেও আগুন দেয়া হয়েছে। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম? আমরা চেয়েছিলাম হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ একসাথে বসবাস করবো। আজ সেই ভিত্তিমূলে ওরা আঘাত হেনেছে। আর এমন সময়ে ওরা আঘাত হেনেছে, যখন বাংলাদেশের আপামর মানুষের প্রত্যাশার পরিপূরক হিসেবে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত, অন্যায়-অবিচার মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যে অভিযানে নিজ দলীয় নেতারাও রেহাই পাচ্ছে না।’
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |