বুয়েট আমার দ্বিতীয় জন্মস্থান

কথায় আছে কাপুরুষ মরে বারবার, কিন্তু বীরপুরুষ মরে একবারই। আমি বীরপুরুষ কোনকালেই ছিলাম না। তবে না মরে জন্মেছি দুইবার।

পারভেজ রাকসান্দ কামাল, মেলবোর্ন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2019, 07:38 AM
Updated : 18 Oct 2019, 07:38 AM

কবি বলেছেন, ‘মানুষ নাকি দ্বিজ’। মানে দুইবার জন্ম নেয়। যেহেতু আমি মানুষের আদলে তৈরি সেহেতু কবির কথার অমর্যাদা আমি করি কি করে? তাই আমিও দ্বিজ। আমার প্রথম জন্মস্থান হলো চুয়াডাঙ্গা। বহুদিন সেখানে কৃষ্ণ সেজে রাধাগণের সামনে নর্তন-কুর্তন করে যখন প্রকৃতি দেখল প্রকৃতই আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, তখন আমাকে কাঠঠোকরা বানিয়ে কাঠখোট্টা মার্কা জঙ্গলে পাঠিয়ে দিলেন। সেই জায়গার নাম ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়’ (বুয়েট)।

এখানে আমার প্রেমিক মন আর কবিসত্তা প্রায় একপ্রকার মাঠে মারা যেতে লাগল ইট কাঠ রড বালি সিমেন্টের খাঁচায় বন্দি হয়ে। যদিও এখানে আসার আগে অবধি আমার কোন কবিতা কোথাও ছাপা হয় নাই। সেটা অবশ্য আমার কবিতার গুণে নয় বরং আমার প্রতিভাকে ঠিকমত বিচার করতে না পারার জন্যে। সে যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসি।

কাঠখোট্টার জঙ্গলে আমি কিছু ভাল বন্ধু, সিনিয়র ভাই ও শিক্ষক পেয়েছিলাম। সবার নাম লেখা হয়ত সম্ভব নয়। তবে কয়েকজনের নাম না লিখলে আমাকে আবার প্রকৃতি অন্য কোন জঙ্গলে পাঠিয়ে দিবেন কাঠঠোকরার মতো। 

আজ থেকে বিশ বছর আগে আমার থাকার জায়গা হলো বুয়েটের রাজধানী হিসেবে খ্যাত তিতুমীর হলে। যদিও আমি হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সিট পাই নাই প্রথমাবস্থায়। সুতরাং থাকার জায়গা বলতে ওই হলের বারান্দা বা আকাশরূপি ছাদ ও সবুজ ঘাসের বিছানা ছাড়া আর কিছুই জোটার কথা না। আমাকে সবুজ ঘাসের বিছানায় না রেখে হলে নরম চৌকিতে রেখেছিলেন আমার বন্ধু তরিকুল ইসলাম মিলন।

আমি হলের প্রথম টার্ম মিলনের সঙ্গেই ডাব্লিং করে পার করে দিলাম। এই মহানুভব মানুষটির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল আমার প্রথম জন্মস্থান চুয়াডাঙ্গার খেলার মাঠে, বুয়েটের ভর্তি হবার কিছুদিন আগে। সেই স্বল্প পরিচয়ের একজন বন্ধুকে তিনি সেদিন খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখেননি। ওই সময় তিনি আমাকে যদি তার বিছানায় না রাখতেন তাহলে আমার কিছুই করার ছিল না। ওইটুকু সেমি সিঙ্গেল বিছানায় আমার সঙ্গে হাসিমুখে থাকতে ওর নিশ্চয় অনেক কষ্ট সহ্য করতে হত। আমাকে কোনদিন কিছুই বুঝতে দেয়নি। মনে মনে বুঝেছি আমি হঠাৎ করেই অনেক উন্নত চরিত্রের একজন মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলাম।

আমার এই হল-জীবন দেখতে আমার বাবা এসেছিলেন বুয়েটে। শুধু দেখে গেলেন না আমার বন্ধুদের সঙ্গে আমাকে নিয়ে বেশ গল্প গুজব করে গেলেন। আমার বন্ধুরা সেদিন বুঝেছিলেন যে আমি একটি অকর্মন্য গোছের মানুষ। আমাকে দিয়ে জীবনে কোন ভাল কাজ হবে না। আজ এইক্ষণে আমার আরেক বন্ধুর কথা খুব মনে পড়ছে। তার নাম আসাদুজ্জামান আদল। ইংরেজিতে লিখলে হয় একটি পুতুল (অ্যা ডল)। খুব শান্তশিষ্ট বুদ্ধিমান ও বাস্তববাদি একজন মানুষ।

আবরার ফাহাদ স্মরণে বুধবার রাতে মোমবাতি মিছিলে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

তিনি আমার বাবার কথা মিলিয়ে দেখলেন যে কাপড় চোপড় কাচার ব্যাপারে আমার একরকম অনীহা আছে। আর কাচলেও আমার খুব কষ্ট হয়। আমি কাপড় কাচার  কায়দাও ঠিকমত জানি না। আমার এই বন্ধুটি মাঝে মাঝে নিজের কাপড়ের সঙ্গে আমার কাপড় নিয়ে কেচে দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। আমি খুবই লজ্জাই পড়ে গিয়েছিলাম ব্যপারটা বুঝতে পেরে। কিরকম নিঃস্বার্থ একজন মানুষ হলে এরকম করতে পারে। বেশ বুঝতে পারছিলাম আমাকে স্রষ্টা ভাল কিছু বন্ধু ভাগ্য দিয়েছেন। 

আমার হল-জীবনের অনেক ঘটনায় আজ মনে পড়ছে। আমি তখন মিলনের রুম থেকে অন্য রুমে নিজস্ব সিটে থাকি। যেদিন আমি মিলনের রুম ছেড়ে আমার নিজের  বেডে উঠতে যাচ্ছি সেদিন চতুর্থবর্ষের এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা। তিনি যতদূর  মনে পড়ে ওই হলের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন এবং ছাত্রদল করতেন।

তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, আমি কোন রুমে সিট পেয়েছি। আমি ৪০১০ রুমের কথা বলতেই তিনি বলেছিলেন, ‘ও। ওই রুমে হল ছাত্রলীগের সভাপতি থাকে ও আমাদের ছাত্রদলের একটি ছেলে থাকে। ওরা বেশ ভাল ছেলে। আশা করি তোমার অসুবিধা হবে না।‘ 

আমি খুবই অবাক হয়ে ছিলাম। যদিও একটি টার্ম তিতুমীর হলে কাটিয়ে ফেলেছি। তবুও অবাক হবার কারণ হলো যে, একই রুমে দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের মানুষের সহাবস্থান। যেদিন আমি ওই রুমে উঠলাম সেদিন আরও অবাক হয়ে দেখলাম যে তারা যথেষ্ঠ ভালভাবেই আমাকে গ্রহণ করলেন। মজার ব্যাপার হলো ওই রুমের সিনিয়র ভাইয়েরা কখনই আমাকে কোন রাজনৈতিক দলে আসার ব্যাপারে বল প্রয়োগ করতেন না। বরং প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসেবে উৎসাহ দিতেন ভাল রেজাল্ট করবার। যদিও সেই ভাল রেজাল্ট আমাকে দিয়ে হয়নি।

তিতুমীর হলের ৪০১০ এর ওই রুমে আমাদের পুরকৌশলের একজন বড় ভাই থাকতেন। সবসময় দেখতাম তার কম্পিউটারের সিপিইউ (কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট) খোলা ও শোয়ানো থাকত। তখন হলে কম্পিউটার খুবই কম মানুষেরই ছিল। আমার আবার কম্পিউটারের উপর বিশাল আগ্রহ। সেই আগ্রহ দেখে তিনি একদিন আমাকে সিপিইউর ভিতরের সব হার্ডওয়্যার নিয়ে জ্ঞান দিলেন। তারপর কিভাবে একটি সিপিইউ অ্যাসেম্বলি করতে হয়, কিভাবে উইন্ডোজ, মাইক্রোসফট অফিস ও অন্যান্য সফটওয়ার ইন্সটল করতে হয় শেখালেন।

এতে আমার খুব লাভ হলো। অন্যান্য বন্ধু মহলে আমার বেশ নামডাক পড়ে গেল। অনেক বন্ধু যারা অন্যান্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন, তারা আমাকে তাদের নিজেদের কম্পিউটার ঠিক করতে ও সফটওয়ার ইন্সটল করতে ডাকাডাকি  করতেন। বেশ একটা ভাব ছিল সে সময় আমার।

আরও একটি মজার কথা মনে পড়ছে আজ আমার। আমার পাশের রুমে সিএসই (কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং) এর কয়েকজন বড় ভাই থাকতেন। একবার একভাই আমাকে তার কম্পিউটারে বসে কিভাবে এক্সেল সফটওয়ার দিয়ে প্রোগ্রামিং করতে হয় তা হাতে কলমে শেখালেন। এই এক্সেল আজও আমাকে দেশে ও বিদেশে চাকরি বাকরিতে খুব উপকার করে চলেছে। আমি আজও সেই সব বড় ভাইদের কাছে ঋণী। 

সে যাই হোক, ওই রুমটিতে আমি বেশ কিছু সিনিয়র ভাইদের সঙ্গে আনন্দে দিন কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু একটি সমস্যা ছিল সেই রুমে। মাঝে মাঝে এক বড় ভাই আসতেন যিনি বুয়েটের লেখাপড়া বাদ দিয়ে নাট্যদলে কাজ করতেন। তিনি অনেক সিনিয়র মানুষ, ৮৪ বা ৮৫ সালের ব্যাচ সম্ভবত। তিনি তখনও মনে করতেন ওই সিটটি তার রেজিস্ট্রি করা। আমার রুমের অন্যান্য সিনিয়র ভাইরা ভদ্রতাবশত তাকে কিছু বলতেন না।

আমি সেই কথা আমার পরম প্রিয় বন্ধু জাকারিয়া পারভেজকে বলেছিলাম, একদিন বিকেলে চা খেতে খেতে। সে তখন  বলেছিল, ‘আমার রুমে একটি সিট খালি হয়েছে। আমি আমাদের সিনিয়র ভাইয়ের কাছ থেকে অনুমতি যদি পাই তাহলে তুই আমার রুমে উঠতে পারিস।’ আমি এই কথা শুনে টিউশনিতে চলে গেলাম। রাত ৯টা বা ১০টার দিকে ফিরে রুমে ফিরে দেখি, আমার বেড থেকে আমার বালিশ-তোশক গায়েব। আমি আমার রুমমেটদের জিজ্ঞেস করলাম যে আমার বিছানা কই? সবাই বলল যে জাকারিয়া আর যতদূর মনে পড়ে ইলিয়াস নিয়ে গেছে জাকারিয়ার রুমে। 

জাকারিয়াকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি ওই রুমে থাকাকালীন। এত জ্ঞানী, নিরহংকারী, বুদ্ধিমান ও অকৃত্রিম বন্ধু সবার জোটে না। আমি ভাগ্যবান। আমি আমার বুয়েটের শেষ দিনগুলো সেই রুমেই থেকে পার করেছিলাম। ওই রুমটিই হলো আমার জীবনে বেহেশতের মতো একটি জায়গা।

ওই রুমে আমার একজন সিনিয়র রুমমেট ছিলেন, সবুজ ভাই। এত ভাল, নির্ভেজাল, সুন্দর মনের মানুষ খুব কমই দেখেছি জীবনে। তিনি আমাদের একবছরের সিনিয়র ছিলেন। আমার আজও মনে আছে যেদিন তিনি হল ছেড়ে চলে গেলেন পাশ করার পর, সেদিন জাকারিয়ার মতো অত শক্ত মনের মানুষও কাঁদতে কাঁদতে চোখের পাতা ফুলিয়ে ফেলেছিল। 

থাকার জায়গা নিয়ে অনেক কথা বলে ফেললাম। একটু পড়াশোনার দিকে মন দেয়া যাক। আমি তো জীবনে কোনদিন পড়াশোনায় ভাল বা সিরিয়াস ছিলাম না। বুয়েটে কিভাবে চান্স পেয়েছি, সেটি একটি অতি বিস্ময় আমার কাছে আজও। আমাদের খুব পরোপকারী বন্ধু হলো তাপস চৌধুরী। সে খুবই মনোযোগী ছাত্র। নিয়মিত ক্লাস নোট তোলে, চোথা তৈরি করে থাকে। প্রতি টার্ম ফাইনালের আগে সে হলে এসে তার নিজের তৈরি করা চোথা আমাদেরকে ফটোকপি করে দিত। মনে হতো এটা যেন ওর দায়িত্ব কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সেই চোথা পড়েই পাশ করতাম বুয়েটে প্রতিটি টার্মে। 

মমতা শব্দটি সাধারণত স্ত্রীলিঙ্গের ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হয়। শুরু করেছিলাম বন্ধুভাগ্যের কথা দিয়ে। এখন বলব একজন মমতাভরা শিক্ষকের কথা। বুয়েটের অন্য সবার মতো  আমিও তখন একটি বাসায় টিউশনি করতাম। ঠিকমত বেতন পেতাম না। ১ তারিখের বেতন সাধারণত ১০ তারিখে পেতাম। তাতে আমার খুব সমস্যা হতো না। এরকম  চলতে চলতে রমজান মাস চলে এল। কিন্তু তারা আজ দেবো বা কাল দেবো বলে বেতন দিচ্ছিলেন না।  বেতন না পাওয়ায় বাড়ি যাবার টিকেট কিনতে পারছিলাম না।

এদিকে হল বন্ধ হয়ে গেছিল। বাইরে ইফতারি বা সেহরি করতে হচ্ছে। খরচ আরও বেশি। মাথা ঠিকমত কাজ করছে না। তখন মোবাইল ফোন সবার হাতে হাতে ছিল না। প্রতিদিন বাড়িতে কথা হত না। তাই বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা বলতে পারি নাই। আমি সেই সম চতুর্থবর্ষের ছাত্র। থিসিস করছি। আমার সুপারভাইজার ড. জয়নাল আবেদীন স্যার, তৎকালীন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ)।

একদিন বুয়েট শহীদ মিনারে বসে এক ঠোঙ্গা মুড়ি কিনে বসে আছি ইফতারের সময়ের অপেক্ষায়। হঠাৎ দেখি জয়নাল স্যার গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমাকে ডাকছেন। আমি গাড়ির কাছে গেলে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, সামনে ঈদ। আমি কেন বাড়ি যাই নাই। আমি পুরো ঘটনা তাকে বললাম। তিনি বললেন, ‘যদি কাল বেতন  না পাও আমার বাসায় এসে বাড়ি যাবার টাকা নিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাবা। আমি যেন তোমাকে আর বুয়েট ক্যাম্পাসে না দেখি’। আমি তার কথা শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম। যদিও আমার বাবা কিভাবে যেন আমার বেতন না পাবার কথা জানতে পেরে বাড়ি যাবার টিকেটের ব্যবস্থা করে দেন। 

পুরোসময় নিজের কথাই বললাম। এবার আমার আরেক বন্ধুর বিপদে কিভাবে জয়নাল স্যার ছাত্রকল্যাণ পরিচালক হিসেবে এগিয়ে এসেছিলেন তা বলি। আমার একই ক্লাসের ও তিতুমীর হলের এক বন্ধু হঠাৎ করেই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। বিভিন্ন টেস্ট করে জানা গেল যে, তার কিডনিতে অপারেশন করতে হবে। কিন্তু এজন্য তো অনেক অর্থের প্রয়োজন।

আমাদের অন্যান্য বন্ধুরা অর্থ সংগ্রহের কাজে নেমে পড়লেন একটুও সময় অপচয় না করে এবং তারা জয়নাল স্যারের কাছে গেলেন যদি বুয়েট কোনভাবে কিছু সাহায্য করতে পারে। সবশুনে তিনি বললেন, ‘আমরা বুয়েট থেকেই তো পুরো ব্যবস্থা করে দিতে পারি।‘ আজ যতদূর মনে পড়ে স্যারের কারণে বুয়েট চিকিৎসার জন্য বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেছিল। আর আমার সেই চ্যাম্পিয়ন বন্ধুরা প্রতি রাতে একজন একজন করে রাতে হাসপাতালে গিয়ে সেবা করতেন আমার ওই বন্ধুটিকে। 

ছাত্রদের জন্য অসম্ভব দরদ ও বন্ধুত্বের জন্য অকৃত্রিম ভালবাসা না থাকলে কোন শিক্ষক ও কোন বন্ধু এভাবে মানুষের জন্য এগিয়ে আসতে পারে না। এসবই ছিল আমার বুয়েট থেকে শেখা অমূল্য শিক্ষা। যে কথা আমরা সবাই গর্ব করে বলতে পারি। আর আমি বলি কাঠখোট্টার জঙ্গল বুয়েট আমার দ্বিতীয় জন্মস্থান।

লেখক পরিচিতি: অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন প্রবাসী প্রকৌশলী, সাবেক ছাত্র (১৯৯৮-২০০৪), পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!