নিউ ইয়র্কে ফারুক খান: শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এক মতবিনিময় সভায় আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনাকে জাতির জন্য আশীর্বাদ’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2019, 04:12 PM
Updated : 3 Oct 2019, 04:12 PM

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ার শেরাটন টাইসন হোটেলের বলরুমে বৃহত্তর ওয়াশিংটন বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় ওই মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

ফারুক খান বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যার সুচিন্তিত নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কেই শুধু ওঠেনি, একইসাথে গণতান্ত্রিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলেও পরিণত হয়েছে। জাতিরজনকের স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বাঙালিকে বিশ্বে মর্যাদার আসনেও অধিষ্ঠিত করেছেন শেখ হাসিনা। বলা যেতে পারে যে, শেখ হাসিনা হচ্ছেন বাঙালি জাতির জন্যে বড় একটি আশির্বাদ।”

তিনি আরও বলেন, “উন্নয়নে প্রত্যাশী প্রতিটি প্রবাসীর উচিত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকা। কারণ, উন্নয়নের ছোঁয়া দলমত নির্বিশেষে সকলেই পাচ্ছেন।”

জাতিসংঘে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ছিলেন ফারুক খান। সেখান থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছেন দলীয় নেতা-কর্মী এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মতবিনিময় করতে। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার মনসুর এবং সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিক শিব্বির আহমেদ। 

ফারুক খান বলেন, “গণতন্ত্র এবং সুশাসনের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারা যে দলেরই হোক শেখ হাসিনার নির্দেশে চলমান অভিযানে শাস্তি পাবেই। এটা সকলকে স্মরণ রাখতে হবে যে, এ অভিযান নতুন কিছু নয়। এটি চলমান একটি প্রক্রিয়া।”

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পরিস্থিতি আলোচনার সময় আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা বলেন, “নিউ ইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশে সভাপতিত্ব করার সুযোগ পাননি সিদ্দিকুর রহমান। এমনকি তার কমিটির কেউই সেটি পরিচালনারও সুযোগ পাননি। তাই এখন তাকে বুঝতে হবে যে, নতুন করে কিছু করা উচিত হবে না।”

“কোন সিটি অথবা স্টেটে সম্মেলন অথবা কমিটির প্রক্রিয়ায় না যাওয়াই শ্রেয় হবে। জাস্ট কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় থাকা উচিত। এ সময়ে কোন ধরনের কোন্দল বা বিরোধে লিপ্ত হওয়া সমীচিন হবে না।”

ফারুক খান বলেন, “এ স্বত্ত্বেও সিদ্দিকুর রহমান যদি নতুন করে কিছু করতে চান, তাহলে তাকে পরামর্শ দেবেন বিরত থাকতে।”

ফারুক খান বলেন, “লতিফ সিদ্দিকীর মত বড়মাপের একজন মুক্তিযোদ্ধা-সংগঠক, প্রেসিডিয়াম মেম্বারকেও শেখ হাসিনা ছাড় দেননি। তাই কেউ যদি অসাংগঠনিক কিংবা দল ও জাতির জন্যে ক্ষতিকর কিছু করেন, তাহলে তার পরিণতি তাকে ভোগ করতেই হবে। এই সময়ে বেশ ক’জন এমপির বিরুদ্ধে দুদকে তদন্ত চলছে। একজন কারাগারেও রয়েছেন।”

ফারুক খান প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “১০ বছর পর্যন্ত ট্যাক্স রিবেট পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। বিনিয়োগে আগ্রহীদেরকে ওয়ানস্টপ সার্ভিস দেয়া হচ্ছে।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতাদের কিছু প্রশ্নেরও জবাব দেন ফারুক।

এতে অংশ নেন শিব্বির আহমেদ, সাদেক খান, নূরল আমিন, আবুল হোসেন শিকদার, হারুন চৌধুরী, আমর ইসলাম, আবু বকর, হাসনাত সানী, জাহিদ হোসেন, আনওয়ারুল আজিম, আইরিন পারভিন, মোহাম্মদ আলমগীর।

এ মতবিনিময় সভার আয়োজনে অন্যতম ছিলেন শেখ সেলিম ও জি আই রাসেল। 

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!